Visva Bharati: শান্তিনিকেতনের একটি রাস্তা ফেরত চাইছে বিশ্বভারতী, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি উপাচার্যের
Visva Bharati: বিশ্বভারতীর বক্তব্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। এমন অবস্থায় তাই শান্তিনিকেতনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্য চাইছে বিশ্বভারতী।
বোলপুর: শান্তিনিকেতনের একটি রাস্তা পূর্ত দফতরের কাছ থেকে ফেরত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ওই রাস্তার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অধীনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো। এমন অবস্থায় তাই শান্তিনিকেতনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্য চাইছে বিশ্বভারতী।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লিখেছেন, তাঁরা ওই রাস্তাটিতে চার চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে চান। তাঁদের বক্তব্য, ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে, কম্পনে আশ্রমের ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সতর্কবার্তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বক্তব্য, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে সতর্ক করা হয়েছে এই রাস্তার উপর কম্পন বন্ধ না হলে, ভবনগুলি ভেঙে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের বক্তব্য গাড়িঘোড়ার শব্দে আশ্রম এলাকার শান্ত নিরিবিলি পরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে।
ওই রাস্তার উপর বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উদাহরণ হিসেবে আনন্দ ও মৃণালিনী পাঠশালার কথাও লিখেছেন তিনি, যেগুলি ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে। এমন অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ির কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথাও চিঠিতে তুলে ধরেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ, যাতে শান্তিনিকেতনের ওই রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তাটিতে চার চাকার গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেও জানাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
এই পদক্ষেপের ফলে সম্প্রতি শান্তিনিকেতেন যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পেয়েছে, তা টিকিয়ে রাখতে সুবিধা হবে বলেই মনে করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে ওই রাস্তাটি ফিরে পেতে চাইছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।