বীরভূম: একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে অকথা-কুকথার স্রোতও। এবার বীরভূমের রামপুরহাটে সভা করতে গিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যুত্তরে শোভনকেও কুকথা শোনালেন অনুব্রত।
মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে রোড-শো করেন শোভন। এই রোড-শো থেকেই কলকাতার বিজেপি পর্যবেক্ষকের হুঁশিয়ারি, “নবান্ন খালি করে দিতে হবে। বাংলার সরকার থেকে তৃণমূলের চলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।” এরপরেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আক্রমণ করে শোভনের মন্তব্য, ‘কেষ্টদার মুখের ভাষা নেড়ি কুকুরের লেজের মতো’।
রামপুরহাটের শ্রীফলা থেকে পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত। আর সেই রোড শো’র গাড়িতে চেপে শোভন বলেন, “হাজারে হাজারে মানুষ রাস্তায়। রাস্তার দু’পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। আর এখান থেকেই লেখা হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ, চলে যেতে হবে।” বাংলা এবং বীরভূমে কত আসন আশা করতে পারে বিজেপি? এই প্রশ্ন উঠলে শোভন জানান, “আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী যে বাংলায় দু’শোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি। বীরভূমেও সম্ভবত এগারোয় এগারোটি আসনই পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ, কেষ্টদার যা মুখের ভাষা সেই ভাষাকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।” তারপর নিজেই অনুব্রতকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “কেষ্টদার মুখের ভাষা নেড়ি কুকুরের লেজের মতো। একটু সোজা করে দেবেন আবার বেঁকে যাবে। আবার শোভন এও কটাক্ষ করেন, মাথায় যখন অক্সিজেন ফুরিয়ে যায় তখন কী বলতে হবে সেই ভাবনা চলে যায়। কেষ্ট মণ্ডলই বীরভূমে তৃণমূলকে কবর দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘জিতেন্দ্র কয়লা চোর,’ গোবর জলে ধুয়ে পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক কার্যালয়ের দখল নিল তৃণমূল
এ নিয়ে অনুব্রতর প্রতিক্রিয়া, শোভন একজন নোংরা লোক। নিজের স্ত্রী-পুত্রকে দেখেন না। এরপরেই কেষ্টর মন্তব্য, “আমি আবার বিয়ে করলে কেউ কিছু বলবে না। কারণ, আমার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। ”