বীরভূম: বগটুই ‘গণহত্যা’র ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিবিআই। শনিবারই রামপুরহাটে পৌঁছয় ২৫ জন সিবিআই আধিকারিকের একটি দল। প্রথমেই পুলিশসুপারের কাছ থেকে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে তারা। এরপর পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। যে সোনা শেখের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে, সেই বাড়ি ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সিবিআই আধিকারিক ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবোরেটরি বা সিএফএসএল (CFSL) বিশেষজ্ঞরা সোনা শেখের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন।
যে পথে দুষ্কৃতীরা সোনা শেখের বাড়িতে ঢুকে আগুন লাগায় বলে অভিযোগ ওঠে, এদিন তদন্তকারীরা ঠিক সেই পথ ধরেই ঢোকেন। এরপরই চলে যান এই বাড়ির উপরতলার বারান্দায়। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। উল্লেখযোগ্য, এই বাড়ির যে সমস্ত জায়গায় নমুনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সর্বত্রই ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা।
যে সমস্ত জায়গায় ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ রয়েছে, সে সব জায়গায় ইউভি ব্লু লাইট ফেলে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে যে সব ঘরে পোড়া রক্ত, পোড়া মাংস এবং শরীরের অংশ বিশেষ পড়েছিল সেখান থেকেও সিএফএসএলের সেরোলজি এক্সপার্টরা নমুনা সংগ্রহ করেন।
তদন্তকারীরা একটি ডাটাবেসও রাখছেন সঙ্গে। যে সমস্ত জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন কিংবা উল্লেখযোগ্য কিছু নজরে পড়ছে সেগুলি নোট করে রাখছেন তাঁরা। কারণ এই তদন্তের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করবে সিবিআই। অন্যদিকে মুখবন্ধ প্যাকেটে একাধিক নমুনাও রেখেছে সিএফএসএল। সেই নমুনার পরীক্ষা হবে দিল্লিতে সিএফএসএলের ল্যাবেরটরিতে।
১. নৃশংস এই ঘটনা ঘটার সময় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল?
২. ‘নাটের গুরু’ কি আনারুল? নাকি পিছনে আরও বড় মাথা?
৩. ঠিক কীভাবে এই ‘গণহত্যা’র ছক হয়েছিল?
৪. আগে কুপিয়ে, পরে আগুন লাগানো হল? নাকি তালাবন্দি ঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ?
৫. বীরভূমের কেষ্ট-বিষ্টুদের কী ভূমিকা এই ঘটনায়?
৬. কারা এই ছক কষে? কার্যকরই বা কারা করে?
৭. খুনের মোটো কী? আর্থিক কোনও বিষয়? বালি খাদান, টোল আদায় নাকি তোলাবাজি?
৮. বদলা নাকি প্রতিহিংসার রাজনীতি?