West Bengal commission for women : ‘চারজন নয়, ধর্ষণ করেছে একজন’, শান্তিনিকেতনে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে জানালেন লীনা
বোলপুর : শান্তিনিকেতনে চড়ক মেলা দেখতে আসা নাবালিকাকে চারজন ধর্ষণ করেনি। একজন তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। আজ বোলপুরে সার্কিট হাউসে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওই নাবালিকা তাঁকে বলেছে, চারজন তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তিনজন তার বয়সি। তাদের বাধা দিতে পারলেও একজন তার […]
বোলপুর : শান্তিনিকেতনে চড়ক মেলা দেখতে আসা নাবালিকাকে চারজন ধর্ষণ করেনি। একজন তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। আজ বোলপুরে সার্কিট হাউসে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওই নাবালিকা তাঁকে বলেছে, চারজন তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তিনজন তার বয়সি। তাদের বাধা দিতে পারলেও একজন তার উপর নির্যাতন চালিয়েছে। শান্তিনিকেতনে নাবালিকা যে গণধর্ষিতা হয়নি, সেটাই বোঝালেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার দাবি, নির্যাতিতার বয়ান বদলের চেষ্টা হচ্ছে।
ওই নাবালিকা বৃহস্পতিবার রাতে এক নাবালকের সঙ্গে চড়কের মেলায় গিয়েছিল। মেলা দেখে ফেরার পথে ফাঁকা জায়গায় তারা গল্প করছিল। সেইসময় কয়েকজন তাদের আক্রমণ করে। নাবালককে মারধর করে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। নদীর চরে ফাঁকা জায়গায় তাকে চারজন গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নাবালিকার সঙ্গে দেখা করতে আজ বোলপুর সার্কিট হাউসে আসেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা। সার্কিট হাউসে আসেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও। পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। সেখানে নির্যাতিতা ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন লীনাদেবী।
নির্যাতিতা ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। বলেন, “মেয়েটি বলল, চারজনের তিনজন নাবালক ছিল। তাদের সরাতে পেরেছিলাম। একজন নির্যাতন করেছে। মেয়েটির মেডিক্যাল রিপোর্ট পেয়েছি। আজ সে যা বলল, তার সঙ্গে মেডিক্যাল রিপোর্ট মিলছে কি না দেখব।” ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও অভিযুক্তরা কেন ধরা পড়ল না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার বললেন, নাবালিকা ও তার সঙ্গীর কথা মতো স্কেচ আঁকা হয়েছে। সেইমতো তদন্ত করা হচ্ছে। আজ নাবালিকার গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আজ বোলপুরে আসেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি তিনি। তবে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর অভিযোগ, মূল অপরাধীদের আড়াল করতে নির্যাতিতার বয়ান বদলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ করবেন এই নিয়ে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে যতগুলি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সবক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি।