Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Marijuana Case: গাঁজার বস্তা চাপিয়ে জেলে চালান করে দিয়েছিল, চাঞ্চল্যকর দাবি তারাশঙ্করের গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষকের

Birbhum: সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের লাভপুরের বাড়ি। ঠিক তার পাশের বাড়িতেই থাকেন এলাকার মাস্টারমশাই সুপ্রভাত বটব্যাল।

Marijuana Case: গাঁজার বস্তা চাপিয়ে জেলে চালান করে দিয়েছিল, চাঞ্চল্যকর দাবি তারাশঙ্করের গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষকের
মাস্টারমশাই সুপ্রভাত বটব্যাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 9:46 PM

বীরভূম: যেদিন প্রথম বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে সিবিআই হানা দেয়, সেদিনই এক গাড়ির ব্যবসায়ী মুখ খুলেছিলেন গাঁজা কেসের হুমকি নিয়ে। অরূপরতন ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যবসায়ী বলেছিলেন, কথায় কথায় অনুব্রত নাকি গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এরপর তদন্ত এগিয়েছে, বহু মুখেই এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এবার এই গাঁজা মামলার হুমকি নিয়ে মুখ খুললেন অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক। সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাঁয়ে বাস সেই মাস্টারমশাইয়ের। এক সময় বাম রাজনীতি করতেন। তারপর বিজেপিতে যান।

সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের লাভপুরের বাড়ি। ঠিক তার পাশের বাড়িতেই থাকেন এলাকার মাস্টারমশাই সুপ্রভাত বটব্যাল। প্রবীণ নাগরিক তিনি। শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন ঠিকই। তবে অবসর নিলে কি আর মাস্টারমশাই ডাক মুছে যায়? এখনও সকলে তাঁকে মাস্টারমশাই বলেই সম্বোধন করেন। সম্মানও করেন। বীরভূমের লাভপুরেই একটি হাইস্কুলে পড়াতেন তিনি। সেই মাস্টারমশাই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন।

সুপ্রভাত বটব্যাল জানালেন, গাঁজা কেস নিয়ে কী ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। সুপ্রভাতবাবুর কথায়, “আমি স্কুলে পড়াতাম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলাম আমি। বামপন্থী রাজনীতির মানুষ ছিলাম, পরে বিজেপিতে যোগ দিই। আমাকে ২০০৮-২০০৯ সাল নাগাদ আমাকে খুনের চক্রান্তে যুক্ত করে জেল খাটানোর চেষ্টা হয়। সেটা ব্যর্থ হয়। ২০১৭ সালে আমি বিজেপিতে যোগ দিই। একটা মিটিং করার জন্য শক্তিগড় গিয়েছিলাম। অনুপম হাজরার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। সেখানে পুলিশ প্রস্তুত ছিল। লাভপুর থানার পুলিশ আমাকে সেখানে তুলে নেয়। নিয়ে এসে ইলামবাজার থানার লকআপে ঢুকিয়ে দেয়।”

সুপ্রভাত বটব্যালের দাবি, “সেদিন আমাদের পায়ের উপর বড় বড় সব বস্তা চাপিয়ে দিল। হালকা বস্তা। আমি তো জানি না ওর ভিতর গাঁজা আছে। তারপর ইলামবাজার থানায় আমাদের নেওয়া হল। পরদিন বোলপুর কোর্টে নিয়ে যাওয়া হল। তিনদিন হেফাজতে রেখে গাঁজার মামলায় সিউড়িতে চালান করে দেওয়া হল। এরপর টানা জেলে।” তিনি জানান, সে সময় আরও অনেক ভোগান্তির শিকার হন তিনি। সে কাহিনি অনেক লম্বা। যদিও এই বিষয়ে জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।