Women Death: পণের দাবিতে চলে গেল আরও একটি প্রাণ, গৃহবধূকে মেরে সিলিংয়ে ঝোলানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 05, 2021 | 9:00 PM

Birbhum: অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

Women Death: পণের দাবিতে চলে গেল আরও একটি প্রাণ, গৃহবধূকে মেরে সিলিংয়ে ঝোলানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

বীরভূম: পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।

লাভপুর থানার অন্তর্গত ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া। সেখানে সাহিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লাভপুর থানার অন্তর্গত কুরনাহারের বাসিন্দা মনোজ শেখের। বিয়ের সময় ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা শ্বশুরবাড়ির দাবি মত পণ দিয়েছিল। কিন্তু এতেও খুশি হয়নি সাহিনার শ্বশুরবাড়ী।

তাদের আরও পণের দাবি ছিল। অভিযোগ, যার কারণে ওই গৃহবধূকে রীতিমতো মারধর করতো তারা। এমনকী ওই গৃহবধূকে মানসিক ভাবেও হেনস্থা করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা।

এরপরেই রবিবার সুহানার সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বচসা হয়। অভিযোগ, তারপরেই ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। এদিকে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা তাকে ঘরের সিলিং এ ঝুলিয়ে দেয় ।

ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকা ছেড়ে পালায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন‌ গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। আসেন লাভপুর থানার পুলিশ। তারা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

ঘটনার পর এলাকায় রীতিমত ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লাভপুর থানার পুলিশ।‌ তবে কেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা এলাকা ছেড়ে পালালো সেই নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শ্যামনগর থেকে গৃহবধূ খুনের ঘটনা সামনে আসে। মৃতার নাম রীনা মণ্ডল(৩৮)। অভিযুক্ত স্বামী শম্ভু মণ্ডল। পেশায় সে দিনমজুর।

মৃতার বোন লতা রায়ের অভিযোগ, জুয়া খেলা ও মদ্যপানের জন্য প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে টাকা চাইত শম্ভু। টাকা চাওয়া নিয়ে নিত্যদিন পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকতো।

গতকাল সকালে একই বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। মৃতার বোনের অভিযোগ, সেই সময় তাঁর দিদিকে মারধর করে অভিযুক্ত জামাইবাবু। সাত বছরের ভাগ্নার সামনেই দিদিকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেয় সে । লতা দেবীর দাবি, তাঁর ভাগ্না পুলিশের কাছে বয়ানও দিয়েছে। এলাকার লোকজন অভিযুক্ত শম্ভুকে পাকড়াও করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। যদিও পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ছাড়াও রীনাকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করত শাশুড়ি যমুনা মণ্ডল, দেওর, ননদ ও জা।

Next Article