কোচবিহার: সে দিন ছিল চতুর্থ দফার ভোট। আর সকাল সকাল শিরোনামে উঠে এসেছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। এই শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মণ নামক এক কিশোরের। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটে এবং আধাসেনার ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় চার ভোটারের। সেই শীতলকুচি বিধানসভা নির্বাচনে এ দিন জয়লাভ করেছেন বিজেপির প্রার্থী বরেণ বর্মণ।
জয়ের ব্যবধানটাও কম নয়। ভোটগণনা শেষে দেখা যাচ্ছে, শীতলকুচিতে ১৭ হাজার ৮১৫ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন বিজেপির এই প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূলের পার্থ প্রতিম রায়। তিনি পান ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫২৭ ভোট। অন্যদিকে, বিজেপির বরেণ বর্মণ পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ১২০ টি ভোট। এই আসনে ৬ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএমের সুধাংশু প্রামাণিক।
যেহেতু সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়, তাই গোটা রাজ্য এবং দেশবাসীর নজর ছিল এই আসনের দিকে। দিনকয়েক আগেই শীতলকুচির সেই ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নিবাচন হয়। এর পর আজ সেই আসনে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: বাই বাই বাম: শতরূপ-ঐশী-মীনাক্ষী, তরুণ ব্রিগেডও অক্সিজেন জোগাতে পারল না সিপিএমকে
বস্তুত, ভোট মিটে গেলেও বেশ কয়েকদিন শিরোনামে ছিল এই শীতলকুচি কেন্দ্র। কেননা, এই ঘটনার জন্যও বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি আঙুল তোলা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘ঘেরাওয়ের’ নিদান দিয়েছিল বলেই এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে করা তাঁর মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞাও জারি করে মমতার উপর। যদিও সব অধ্যায় পেরিয়ে এখন তৃতীয়বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: রাহুল-সনিয়াকে ছাপিয়ে মমতাই কি জাতীয় রাজনীতির বিরোধী মুখ!