Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাহুল-সনিয়াকে ছাপিয়ে মমতাই কি জাতীয় রাজনীতির বিরোধী মুখ!

২০২৪ সাল আসতে আরও তিন বছর। তার আগে বাংলায় মোদী-শাহ জুটির অশ্বমেধের ঘোড়া একা থামিয়ে দিয়ে বিরোধীদের সেই আগাম বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

রাহুল-সনিয়াকে ছাপিয়ে মমতাই কি জাতীয় রাজনীতির বিরোধী মুখ!
অলংকরণ: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Updated on: May 02, 2021 | 9:52 PM

কলকাতা: ‘‌কংগ্রেস নয়, এই ভোটে জিতে গোটা দেশের প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’‌ তৃণমূলের (TMC) বিশাল জয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। আর মুখে এ কথা না বললেও অরবিন্দ কেজরিবাল, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, ওমর আবদুল্লাদের শুভেচ্ছাবার্তায় পাওয়া গেল সেই ইঙ্গিতই। আবার ভোটের ফল প্রকাশের আগে শিবসেনার মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত দলের মুখপত্র ‘সামনা’য় লিখলেন, ‘২ মে ফলের পর দিল্লিতেও কিন্তু কম্পন অনুভূত হবে।’ কার্যত এক পায়ে মোদী-শাহের বিজয়রথ থামিয়ে দিয়ে এভাবেই দেশের রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যা দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মোদী বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রীই। সেখানে ফিকে রাহুল বা সনিয়া গান্ধীরা।

একুশের বাংলার ভোট শুধু তৃণমূল (TMC) বনাম বিজেপি (BJP) ছিল না। একে বরং মমতা বনাম মোদী-শাহ মহারণ বলা চলে। তাই প্রায় একসঙ্গে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হলেও সারা দেশের চোখ ছিল বাংলার নির্বাচনের দিকেই। বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়ে এই ব্যাপক জয় তুলে আনায় জাতীয় রাজনীতিতে আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার মোদী বিরোধিতার শুরু সেই ২০১৪ সালেই। লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে মোদী-বিরোধিতা করে গিয়েছেন মমতা। প্রথমে ধর্মীয় মেরুকরণ, সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলেছেন। তার পর নোটবাতিল থেকে জিএসটি নীতি, সিএএ, এনআরসি থেকে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার প্রতিটি ক্ষেত্রেই মমতা প্রবলভাবে মোদী-বিরোধী।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করা গিয়েছেন। ঘোষণা করেছিলেন, ভোটে জিতে বিরোধী জোটই সরকার গড়বে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কংগ্রেস সঙ্গ দেয়নি। তবে মমতা দমেননি। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হতে আঞ্চলিক দলগুলিকে শক্ত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্র, রাজ্য নির্বাচনগুলিতে মোদী বিরোধী দলগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে নিজের দলের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছেন। বারবার মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার দিল্লির আপ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েও সরব হন। আবার বাংলা ভোটে মমতার পাশে দাঁড়াতে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব থেকে বিহারে লালু-পুত্ররা ছুটে আসেন।

আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই ফিরল সৌজন্য, ‘দিদি’কে জয়ের শুভেচ্ছা জানালেন মোদী 

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে, নন্দীগ্রাম ছাড়া আর কোনও কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যদি লড়েন, তা হবে বারাণসী কেন্দ্র। অর্থাৎ, বার্তা স্পষ্ট। মমতার লড়াই সরাসরি মোদীর বিরুদ্ধে। ২০২৪ সাল আসতে আরও তিন বছর। তার আগে বাংলায় মোদী-শাহ জুটির অশ্বমেধের ঘোড়া একা থামিয়ে দিয়ে বিরোধীদের সেই আগাম বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।