Ghatal BJP: স্বামী-স্ত্রীর ফুল বদল, বিজেপি বলল, ‘ওরা তৃণমূলের দালাল’

Medinipur: ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের বক্তব্য, "তৃণমূলের দালাল ছিলেন উনি। আমরা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। সেদিনই ওনাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের দালালের বিজেপিতে কোনও স্থান নেই। উনি পঞ্চায়েত ভোট থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন।"

Ghatal BJP: স্বামী-স্ত্রীর ফুল বদল, বিজেপি বলল, ওরা তৃণমূলের দালাল
তৃণমূলে যোগ দিলেন সস্ত্রীক মানস ঘোষ। Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 28, 2023 | 3:14 PM

মেদিনীপুর: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান ঘাটালে। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কল্যাণী ঘোষ ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য মানষ ঘোষ। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শঙ্কর দোলইয়ের উপস্থিতিতে এই যোগদান হয়। যদিও এই যোগদান প্রসঙ্গে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের দাবি, বহুদিন ধরেই এই নেতা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। দল তা জানতে পারে। প্রশ্নের মুখে পড়ায় দল ছেড়েছেন।

যোগদানকারী বিজেপি নেতা মানস ঘোষ বলেন, “সময়ই মানুষকে বলে দেয় কী করতে হবে, কোন দিকে যেতে হবে। আমার সঙ্গে চরম অন্যায় হয়েছে। বিধায়ক সে অন্যায় করেছেন। জেলাকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।” মানস ঘোষের স্ত্রী কল্যাণী ঘোষ জনপ্রতিনিধি। মানুষ তাঁকে বিজেপির মুখ হিসাবেই ভোট দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই এমন দলবদলে সততা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না? কল্যাণী ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমাদের বিধায়ক বিজেপি দলটাকে অরাজকতায় ভরে দিয়েছেন। আমাদের উপরও কম অন্যায় হয়নি। তারই প্রতিবাদে এই দলবদল। আর মানুষ ভোট দিয়েছেন কাজ করার জন্য। আমি মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে থেকে আমি অনেক বেশি কাজ করতে পারব।”

তবে এই যোগদান প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপি বিধায়কের। শীতল কপাটের বক্তব্য, “তৃণমূলের দালাল ছিলেন উনি। আমরা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। সেদিনই ওনাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের দালালের বিজেপিতে কোনও স্থান নেই। উনি পঞ্চায়েত ভোট থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। বিজেপিকে ডুবিয়েছেন পরিকল্পনা করে। উনি টাকার বদলে প্রার্থী ভাঙাতে গিয়েছিলেন। বিজেপি ধরে ফেলেছে। তখনই বিজেপি প্রশ্ন করেছিল দলে থেকে দলবিরোধিতা কেন? ওনার কাছে এই প্রশ্ন করাটা অন্যায়। ন্যায় হচ্ছে তৃণমূলকে ইন্ধন দেওয়া। এরকম মনোভাব নিয়ে না থাকাই ভাল।”

যদিও তৃণমূলের শঙ্কর দোলইয়ের দাবি, একুশের ভোটের সময় হঠাৎই শীতল কপাটের উত্থান হয়েছিল। মানুষের জন্য কাজ না করে উনি অরাজকতা করছেন বলেও দাবি শঙ্করের। তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষের কথায়, “মানুষ এবার বিজেপিমুক্ত ঘাটাল গড়বে।”