Burdwan University: ব়্যাগিং সমস্যার সমাধান করাই অগ্রাধিকার, জানালেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য

Manatosh Podder | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Sep 04, 2023 | 6:20 PM

Burdwan University: সোমবারই রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের নির্দেশে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন গৌতম চন্দ্র। তিনি প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক।

Burdwan University: ব়্যাগিং সমস্যার সমাধান করাই অগ্রাধিকার, জানালেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম চন্দ্র।
Image Credit source: টিভি৯ বাংলা

Follow Us

বর্ধমান: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের (Burdwan University) উপাচার্য পদে বসেই র‍্যাগিংয়ের (Ragging) সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করতে চান গৌতম চন্দ্র। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের সমস্যা তত প্রকট নয়। যতটুকু সমস্যা আছে সেটা আর থাকবে না। পরিবার হিসাবে, টিম হয়ে কাজ করব।”

সোমবারই রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের নির্দেশে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন গৌতম চন্দ্র। তিনি প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। এদিনই অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে গৌতম চন্দ্র দায়িত্ব নিলেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর ৩৮ বছরের সম্পর্ক। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। ৩২ বছর এখানকার ফ্যাকাল্টি ছিলেন। তাই উপাচার্য পদে বসে ব়্যাগিং-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করতে তৎপর তিনি।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং প্রসঙ্গে সদ্যনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, এখানে র‍্যাগিং তত বড় সমস্যা কোনওদিন ছিল না। তবে কিছু থাকলেও সেটাকে লঘু করে দেখা হবে না। উপাচার্য না থাকায় দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি-র‍্যাগিং কমিটির বৈঠক হয়নি। তবে এবার তিনি গোটা বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন গৌতম চন্দ্র। যদিও এদিনই তিনি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই সবটা বুঝে নিতে একটু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আলাদা। এখানকার টিম খুব দক্ষ। আর কোনও সমস্যা এখানে থাকবে না।”

প্রসঙ্গত, গৌতম চন্দ্রের আগে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি অবসর নেওয়ায় কার্যত অচলাবস্থা চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সহ-উপাচার্য আশিস পানিগ্রাহী উপাচার্যের কাজ চালালেও বিধিগত কিছু অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্টের অনেক কাজ আটকে ছিল। এই পরিস্থিতিতে গৌতম চন্দ্রকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। দায়িত্ব নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

Next Article