South Dinajpur: ‘বাঙালি না বিহারী কিছুই দেখছে না, বাংলায় কথা বললেই মারছে’, দিল্লি থেকে আবারও ফিরল পরিযায়ী শ্রমিক ভর্তি বাস

South Dinajpur: বুনিয়াদপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের রাঙাপুকুর এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁদের বাপ ঠাকুরদারাও এখানকার নাগরিক। তাঁদের বৈধ নথি রয়েছে।

South Dinajpur: বাঙালি না বিহারী কিছুই দেখছে না, বাংলায় কথা বললেই মারছে, দিল্লি থেকে আবারও ফিরল পরিযায়ী শ্রমিক ভর্তি বাস
পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরলেনImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 29, 2025 | 6:06 PM

বংশীহারী: সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালেও হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। একাধিক বাসে করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরাও ফিরলেন বাড়িতে। এর আগে মালদহ জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছিলেন। আর ঘরে ফেরার পর সেখানে তাঁদের উপর কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছে সেই বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর এলাকায় বাস এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় ফেরেন। নিজেরা বাস ভাড়া করে রওনা দেন। এদিকে বাড়ি ফিরেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বিডিও অফিস, পুরসভা, সহ বিভিন্ন সরকারি অফিস ও অনলাইন ক্যাফেতে নথি যাচাই করতে যাচ্ছেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ এখানে কোনও কাজ নেই। রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি ভাতা পেলেও সেই টাকায় চলে না সংসার। তাই একরকম বাধ্য হয়েই ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে। এখানে কাজ নেই কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়েই চিন্তায় রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার। জেলায় কাজ থাকলে পরে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হত না বলেই পরিযায়ী শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

বুনিয়াদপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের রাঙাপুকুর এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁদের বাপ ঠাকুরদারাও এখানকার নাগরিক। তাঁদের বৈধ নথি রয়েছে। তারপরেও হরিয়ানায় গিয়ে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। কারণ তারা বাংলায় কথা বলেন। পুলিশি অত্যাচারের ভয়েই সকলেই জীবন বাঁচাতে বাড়িতে চলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার।

পরিযায়ী শ্রমিক আইনউদ্দিন মিঞা বলেন, “আমার জন্ম এখানেই। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনেক সাহায্য করেন। কিন্তু তারপরও খেতে পাচ্ছি না। মেয়ের বিয়ে তো দিতে হবে। ভাতায় সংসার চলে না। তাই তো বাইরে যাচ্ছি।” পরিযায়ী শ্রমিক লিপিকা পারভিন বলেন, “দিল্লিতে কাজে গিয়েছিলাম। ওইখানে অত্যাচার করছে। মারছে বাঙালিদের। এমনকী বিহারীদের উপরও অত্যাচার করছে। কিছুই দেখছে না।”