
শিলিগুড়ি: ভারতের ‘ঘাঁড়েই’ নিঃশ্বাস ফেলছে চিন। বাংলার অদূরে তৈরি করছে নিজেদের ঘাঁটি। আর পিছন থেকে ছুরি মারার কাজে লাল ফৌজকে প্রছন্ন মদত দিচ্ছে বাংলাদেশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় পরিত্যক্ত বায়ুসেনা ছাউনির নিজেদের অধীনে নিয়েছে চিন। এই জেলা থেকে ভারতের সর্বোচ্চ নিকটবর্তী সীমানা মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে ও শিলিগুড়ি করিডর, যা চিকেনস নেকে ‘প্রাণ’ তা মোট ১৩৫ কিলোমিটার দূরে।
সূত্রের খবর, সেই পরিত্যক্ত বায়ুসেনাকে ছাউনিকে পুনরুদ্ধার করছে লাল ফৌজ। যার জন্য আধুনিক সরঞ্জামও এনেছে তারা। এমনকি, সম্প্রতি বেজিংয়ের এক প্রতিনিধি সেখানে এসে পুনরুদ্ধারের কাজ কতটা এগিয়েছে তাও খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। যদিও ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে পুরনো বায়ুসেনা ছাউনি পুনর্নিমাণের কাজে নেমেছে চিন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সাধারণ ভাবেই বিশ্বের নানা দেশের নিজেদের বাণিজ্যিক সুবিধার্থে এরকম ঘাঁটি গড়ে থাকা চিন। তবে চিকেনস নেকের ঘাড়েই বায়ুসেনা ছাউনি পুনরুদ্ধার ঠিক সেই কাজেই কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিলিগুড়ির করিডরের অদূরে চিনের নড়চড়ন মোটেই সুবিধার নয়। কারণ শুধুমাত্র এই টুকু অঞ্চলকেই চিন কোনও ভাবে অবরুদ্ধ করে দিলে, পাল্লা ভারী হবে তাদের। উত্তর-পূর্ব থেকে সংযোগ হারাবে ভারত। এই পরিস্থিতি কাঁধের কাছে শিয়ের নিশ্বাস মোটেই সুবিধের ঠেকছে না ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কাছ থেকে যে বায়ুসেনা ছাউনিটি ভাড়া নিয়েছে চিন, সেটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও অনেক। ১৯৩১ সালে এই বায়ুসেনা ছাউনি তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই লালমনিরহাট ছাউনি থেকেই ঘনঘন যুদ্ধবিমান ওড়াত তারা।