CM Mamata Banerjee: ‘এই অর্ডার বেআইনি, দেড় লক্ষ পরিবারের ক্ষতি, আমার ১০ লক্ষ চাকরি রেডি’
CM Mamata Banerjee: এ দিন, ভরা সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। যাঁদের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ চাকরি বাতিল করা হল তাঁরা হতাশ হবেন না। চিন্তা করবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার লড়াই করব।"
রায়গঞ্জ: ভোটের প্রচারে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সভার শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরি হারাদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি।
এ দিন, ভরা সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। যাঁদের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ চাকরি বাতিল করা হল তাঁরা হতাশ হবেন না। চিন্তা করবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার লড়াই করব।”
নাম না করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায়ে আক্রমণ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বলেন, “একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। তাঁর অর্ডার ছিল এটা। সুপ্রিম কোর্ট এটাকে সরিয়ে দিয়েছিল। বলেছিল নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করে আলোচনা হোক।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আরে কাকে নিয়ে করবেন নতুন ডিভিশন বেঞ্চ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। আমি বিচারপতিদের নিয়ে বলছি না।”
এরপরই আদালতের রায় নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। বলেন, ” রায় নিয়ে বলার অধিকার আমার রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল মানে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার। বলছে কি না আট বছর তাঁরা চাকরি করেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে সব টাকা ফেরত দিতে হবে। এটা সম্ভব?” মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশ্ন, “আপনারা যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন আপনারা যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয় পারবেন দিতে? সব তো সরকারি টাকায় চলেন, সরকারের গাড়িতে চড়েন, সরকারি নিরাপত্তা পান। আমরা আপনাদের সম্মান করি। এই অর্ডার বেআইনি। সেই জন্যই চ্যালেঞ্জ করছি।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর হুংকার, “আমি এই অর্ডারকে বেআইনি বলছি। বিচারপতিকে নয়। আমরা এটা নিয়ে উচ্চ-আদালতে যাচ্ছি।” মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়ারা চিন্তা করবেন না। যখন বিপদে পড়বেন আর কেউ না থাকলেও আমি আছি। আরও একটা কথা বলি। আরও দশ লক্ষ সরকারি চাকরি রেডি।“