তুফানগঞ্জ : সিপিএমের (CPIM) সভা চলাকালীন লাঠি বাঁশ নিয়ে হামলা। হামলার অভিযোগ তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে। ঘটনায় চরম উত্তেজনা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে তুফানগঞ্জ থানার অন্তর্গত বালাভুত গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যবালাভূত এলাকায়। সিপিএম নেতা তথা নাটাবাড়ি বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তমসের আলির অভিযোগ, আগামী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মধ্য বালাভূত এলাকায় তাঁদের সভা চালাকালীন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অতর্কিতে তাঁদের উপর হামলা চালায়। সভা বানচাল করার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিশে।
এলাকার বাম নেতাদের অভিযোগ, পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে শাসকদলের। ক্রমেই জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। সিপিএমের দিকে মানুষ নতুন করে ঝোঁকাতেই ভয় তৈরি হয়েছে তাঁদের মনে। তারই প্রতিফলন এদিনের হামলা। যদিও বামেদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, ভোটের ময়দানে বাজার গরম করতেই এসব অভিযোগ করছে সিপিএম। এই বিষয়ে তুফানগঞ্জ-১ বি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ বসাক বলেন, “সিপিআইএমকে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যায় না তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাওয়া গরম করতেই তাদের এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। মিথ্যা কথা বলা ওদের ট্র্যাডিশন। গত বিধানসভা ভোটে সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফ একজোট হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেই গোটা বাংলা থেকে ওরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। গণতান্ত্রিকভাবে যে কোনও মানুষ বা দল মিটিং মিছিল করতে পারে। তৃণমূল কোনও বাধা দেয়নি। এর আগেও ওরা মিটিং করেছি। আমরা কোনও বাধা দিইনি।”
যজিও বাম নেতা তমসের আলীর দাবি, “ওরা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। চাকরি থেকে ঘর, সব জায়গায় দুর্নীতি করে বসে আছে। এখন সবকিছু মানুষের সামনে চলে আসায় ওরা ভয় পাচ্ছে। কেউ ওদের আর চাইছে না। মানুষ এখন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোয় ওরা আরও ভয় পেয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই আমাদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে।”