কোচবিহার: পরিবার সমেত ঘুমোচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর হঠাৎ বিকট শব্দে ভাঙল ঘুম। তাকিয়ে দেখলেন কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে আকাশ। তখন আর বুঝতে বাকি রইল না কিছু। ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। সেই দোলের দিন থেকে শুরু হয়েছে জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি তারপর থেকে লাগাতার চলছে উত্তেজনা। এবার তৃণমূলের যুব সহ-সভাপতির বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের যুব তৃণমূল সহ সভাপতি রশিদ ইসলামের বাড়িতে বোমা মারার অভিয়োগ ওঠে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকায়। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে রসিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা নিত্যদিনের মতোই রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ রাত দেড়টা নাগাদ একটি বিকট শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে গোটা বাড়ি। তখনই বুঝতে পারেন যে বাড়িতে কেউ বা কারা বোমা মেরে চলে গিয়েছে।
এরপর খবর যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থানে পৌঁছে তারা বোমের নমুনা সংগ্রহ করে। রশিদ ইসলাম বলেন, “গতকাল রাত্রি দেড়টা নাগাদ সবে শুয়েছি আমি। হঠাৎ বিকট শব্দ। সারা বাড়িতে ধোঁয়া ভরে গিয়েছে। পরে পাশের বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে শুনি যে দুষ্কৃতীরা এসে বোমা মেরে চলে গিয়েছে। আমার ঘরের দরজা ভেঙে দিয়েছে। বাড়ির ছোট বাচ্চারা ভয়ে কুঁকড়ে আছে। এতদিন এমন ছিল না। পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে।”
বস্তুত, হোলির দিন থেকে দফায়-দফায় বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায় জেলায়। কোচবিহারের দিনহাটায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হন একাধিক ব্যক্তি। হোলির দিন দুপুরে দিনহাটার ওকরবাড়ি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। যার জেরে আহত হয় বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দু’জনের নাম রফিক মিঞা ও হাসানুর মিঞা। এর মধ্যে হাসানুর জেলা পরিষদের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এদের দু’জনের অবস্থার আরও অবনতি হলে কোচবিহারে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন চিকিৎসক।