কোচবিহার: এপিক সমস্যায় মাথাব্যথার অন্ত নেই। এতদিন চিন্তা বাড়াচ্ছিল একই এপিক নম্বরে দুই ব্যক্তির নাম। এবার নতুন চিন্তা। একদিন আগেই খবর আসে বালুরঘাটে এমন এক এপিক নম্বরের হদিস মিলেছে যেখানে তিন ব্যক্তির নাম মিলেছে। একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি এবার কোচবিহারেও। ঘটনা সামনে এনেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলছেন বুলবুলি অধিকারী নামে এক মহিলার কথা। করছেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তাঁর দাবি, ভোটার কার্ডের নম্বর এক। ব্যক্তিও এক। কার্ডে তাঁর স্বামীর নামও একই। অথচ তাঁর নাম রয়েছে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র।
এদিকে ধোঁয়াশা, বিতর্কের মধ্যে কয়েকদিন আগে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, একাধিক ব্যক্তির একই এপিক নম্বর থাকতে পারে। একই এপিক নম্বরে একাধিক ব্যক্তির নাম থাকার অর্থ ভুয়ো ভোটার নয়। কিন্তু, তাই বলে এক ভোটারের নাম তিন বিধানসভা কেন্দ্রে?
এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর দাবি, বুলবুলি অধিকারী নামের ওই মহিলার তিনটি কার্ডেই নাম ও স্বামীর নাম এপিক কার্ডের নম্বর এক থাকলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্র আলাদা। একটি মাথাভাঙায়, অপরটি আলিপুরদুয়ারে, এবং তৃতীয়টি ফালাকাটায়। আর এই দিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। পার্থপ্রতিম বলছেন, “GTM2425288 এপিক নম্বরে বুলবলি অধিকারী নামে ওই ভোটারের নাম রয়েছে। এই ভোটারের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে নাম রয়েছে। অথছ পারিবারিক সব তথ্য় এক। স্বামীর নামও এক। কিন্তু, তিনি তিন জায়গার বাসিন্দা কী করে হতে পারেন?”
ভূতুড়ে ভোটার ধরতে কমিটি গড়েছে তৃণমূল। মাঠে নামছেন তৃণমূল নেতারা। মঙ্গলবার বালুরঘাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটার কার্ড ক্রুটিনি করেন নেতারা। তখনই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দেখা যায় একই এপিক নম্বরে রয়েছে তিন ভোটারের নাম। একজন গুজরাটের, বাকি দু’জন বালুরঘাটের।