কোচবিহার: অনন্ত মহারাজের বাড়িতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদের বাড়ির অন্দরমহলে নগেন্দ্র রায় ওরফে অনন্ত মহারাজের মুখোমুখি মমতা। নেপথ্যে কোচবিহারের কোন সমীকরণ? লোকসভা নির্বাচনে নিশীথের হাত থেকে জমি পুনরুদ্ধারের পর সংগঠনে জোর দিয়েছে তৃণমূল। আর তার মধ্যেই অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, সোমবারই রাঙাপানি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বিপর্যয়ের পর রেলের পরিষেবা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অনন্ত মহারাজ। যদিও দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলা তাঁর শুরু হয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। প্রার্থী ঘোষণা হতেই বেসুরো হয়েছিলেন তিনি। অনন্ত মহারাজকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “রাজ্য বিজেপি আমাকে ডাস্টবিনে রেখে দিয়েছে। কেউ কোনও যোগাযোগই রাখেন না। প্রার্থী বাছাই নিয়েও আলোচনা করা হয়নি।” ভোটের মুখে দলকে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন অনন্ত মহারাজ।
কোচবিহারে নিশীথের সমর্থনে প্রচারে অনন্ত মহারাজ যে সেভাবে সক্রিয় হয়েছিলেন, তাও মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়েও সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ককেও সেভাবে লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারেনি বিজেপি। নিজেদের হারানোর জমি জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াকে দিয়েই উদ্ধার করে নিয়েছে তৃণমূল। উদয়ন-রবীন্দ্রনাথের টিম কাজ করেছে সংঘবদ্ধ ভাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে নিশীথ পাশে পাননি বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদকে।
সোমবার উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়স্থলে যাওয়ার আগেই কলকাতায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কোচবিহারে তাঁর একটি বিশেষ কাজ রয়েছে। তিনি কোচবিহার যাবে। মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, মমতা যাচ্ছেন অনন্ত মহারাজের বাড়িতে। অনন্তের বেসুর, নিশীথের হার, তৃণমূলের রাজবংশীদের মন জয়ের পর ‘মহারাজের’ বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্টই ইঙ্গিতবাহী।