
দিনহাটা: NRC-র নোটিস পাওয়ার পর থেকেই শিরোনামে দিনহাটার উত্তম ব্রজবাসী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। অবশেষে দীর্ঘদিন টালবাহানার পর অবশেষে তিনি পেলেন তফসিলি জাতির সার্টিফিকেট। দেওয়া হল বিডিও অফিস থেকে। তা নিয়েও চর্চার অন্ত নেই।
উত্তম থাকেন দিনহাটার সাদিয়ালের কুঠিতে। তার কাছেই অসম থেকে এসেছিল এনআরসি-র নোটিস। জট অবশেষে কাটায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় তাঁকে। উত্তম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করায় প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর হয়েছে। এতদিন জাতিগত শংসাপত্র না থাকলেও এখন একেবারে জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে সেটা দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। দ্রুত এনআরসি-র নোটিসেরও ফায়সালা হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি। নিজের মুখেই বলছেন, ‘চিন্তা একটু কমল’।
গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁরা বলছেন, বংশপরম্পরায় চার পুরুষ ধরে দিনহাটার সাদিয়ালের কুঠি গ্রামেই বসবাস উত্তম ব্রজবাসীদের। এলাকার সবাই ব্রজবাসী তাই পাড়ার নাম বৈরাগী টারি। কোনওদিন অসমেও যাননি। তার কাছে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনালের নোটিস আসায় গ্রামে জমা হয়েছিল উদ্বেগের মেঘ। এলাকাবাসীদের কথায় উত্তম এলাকায় আর্থিকভাবেও যথেষ্ট স্বচ্ছল। তাঁরা দুই ভাই। উত্তমের বাবা একসময় নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও হয়েছেন। তাদের নামে কি করে এই নোটি আসে তা ভেবেও কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ। চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলছেন, “৫০ বছর ধরে দিনহাটার বাসিন্দা। সেই উত্তম ব্রজবাসীকে নোটিস পাঠাচ্ছে অসম! এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে।”