Bangladeshi arrested: ভারতে ঢুকে মেসোকেই ‘বাবা’ বানালেন বাংলাদেশি যুবক, তারপর…
Bangladeshi arrested: অভিযুক্তের মাসি মিনতি সেন বলেন, "আমার ভাগ্নের বাড়ি বাংলাদেশে। বাবা মা কেউ নেই। সবাই মারা গিয়েছে। লকডাউনের আগে ভারতে আসে। এরপর থেকে এই দেশেই বিভিন্ন যায়গায় কাজ করত। মাঝেমধ্যে হলদিবাড়ি আসত।"

কোচবিহার: মেসোমশাইকে বাবা সাজিয়ে ভুয়ো নথি তৈরি করে ভারতে বসবাস। তবে শেষ রক্ষা হল না। বাংলাদেশি এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তুলে হেফাজতে নিল পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম রূপকচন্দ্র সেন। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর মেসোমশাই উমেশচন্দ্র সেনকেও। ঘটনাটি কোচবিহারের হলদিবাড়ির।
কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন বছর পঁচিশের রূপক। এরপর কোচবিহারের হলদিবাড়ি ব্লকের দেওয়ানগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা উমেশচন্দ্র সেনকে পিতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরি করে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তের বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার রংপুর থানার অন্তর্গত বালিয়া এলাকায়। ভারতে অনুপ্রবেশের পর থেকে শিলিগুড়িতে থেকে দিনমজুরের কাজ করতেন রূপক। ভুয়ো নথি তৈরির পর ভারতে ভোটও দিতেন।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে হলদিবাড়িতে আসেন ওই বাংলাদেশি যুবক। গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। গ্রেফতার করে তাঁকে। পাশাপাশি বিদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে এই দেশে থাকতে দেওয়ায় সাহায্যকারীকেও গ্রেফতার করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার তাঁদের মেখলিগঞ্জ আদালতে তুলে রূপককে হেফাজতে নেয় হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। উমেশচন্দ্রকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্তের মাসি মিনতি সেন বলেন, “আমার ভাগ্নের বাড়ি বাংলাদেশে। বাবা মা কেউ নেই। সবাই মারা গিয়েছে। লকডাউনের আগে ভারতে আসে। এরপর থেকে এই দেশেই বিভিন্ন যায়গায় কাজ করত। মাঝেমধ্যে হলদিবাড়ি আসত। গতকাল ফের হলদিবাড়ি আসে। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।”
স্থানীয় বাম পঞ্চায়েত সদস্য মীনা দাস সরকার বলেন, “ওই যুবকের নাম আমার বুথের ভোটার তালিকায় রয়েছে। সে এর আগে ভোট দিয়েছে। এখন শুনলাম যুবকটি বাংলাদেশি। পুলিশ গ্রেফতার করেছে।”
কীভাবে তিনি ভারতে প্রবেশ করলেন? ভুয়ো নথি তৈরি করে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানাতে আর কেউ সাহায্য করেছিল কি না, সাংবাদিকদের এই সব প্রশ্নের জবাবে কোনও মন্তব্য করেননি ধৃত যুবক। তবে সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

