
কোচবিহার: রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার বিজেপি নেতার ছেলের দেহ। আত্মহত্যা নাকি খুন? উঠছে প্রশ্ন। নেতার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করে রেললাইনের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে মৃতের পরিবারের দাবি, ঘটনার তিনদিন পরও পুলিশ এফআইআর নেয়নি। তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোকসাডাঙা থানা এলাকার শিলডাঙার ঘটনা।
স্থানীয় ওই বিজেপি নেতার নাম অধীর বর্মন। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত তিনি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে পুলিশকে জানানো হলেও এফআইআর নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মৃতের নাম প্রলয় বর্মন।
অধীর বর্মন জানিয়েছেন, চাঁদা নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তাঁর ছেলের। মাথাভাঙা মহকুমার অন্তর্গত নীলডাঙা এলাকার বিধান সঙ্ঘ ক্লাবের দুর্গা পূজার প্যান্ডেলের সামনে প্রলয় বর্মনের সঙ্গে স্থানীয় ক্লাবের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তীতে ঘটনা আড়াল করতে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ট্রেন লাইনের ওপরে রাখা হয়েছে বলে দাবি মৃতের বাবার। তিনি বলছেন, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁর ছেলের এই পরিণতি হয়েছে।
অধীর বর্মন জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর ছেলের মোবাইল থেকেই একটি ফোন আসে তাঁর কাছে। একটি ক্লাবের দুর্গা পূজা প্যান্ডেলের একটি অংশে তাঁর ছেলের বাইক ধাক্কা মেরেছে বলে জানানো হয়। খবর পেয়ে তিনি চলে যান। গিয়ে দেখেন ছেলের বাইক এবং মোবাইলটি পড়ে রয়েছে কিন্তু ছেলে নেই। ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান ছেলে চলে গিয়েছে। বাড়িতে ফিরে আসার পরও ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আবার সেই ক্লাবেই যান অধীর। সেখানে তাঁকে ক্লাবের সদস্যদের একজন বলেন, ‘খোঁজ করে দেখুন কোথাও হয়তো পড়ে রয়েছে।’ এরপরই ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই রেললাইনের ধারে পাওয়া যায় দেহ।
অধীরের অভিযোগ, এই পরিকল্পিত খুনের পিছনে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাধব বর্মনের ইন্ধন। তাঁর নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে ঘোকসাডাঙা থানায়। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। মৃত যুবক মুহুরীর কাজ করতেন। এফআইআর না নেওয়ার কারণে অধীর বর্মন সেই মুহুরীদের জানান। তাঁরাই অনলাইনে এফআইআর করার পরামর্শ দেন। এরপর দায়ের হয়েছে এফআইআর।