Udayan Guha: ‘দেখা পেলেই ঝাঁটাপেটা’, উদয়নের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপির মহিলা ব্রিগেড

Udayan Guha: ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের বন্ধ কার্যালয় খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। ফের বিজেপিকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের উপর আক্রমণ হলে এলাকার দু’দিকে বিজেপিকে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে। এ ভাষাতেই সুর চড়িয়েছেন তিনি।

Udayan Guha: 'দেখা পেলেই ঝাঁটাপেটা', উদয়নের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপির মহিলা ব্রিগেড
উদয়ন গুহImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2023 | 4:21 PM

ভেটাগুড়ি: শুক্রবারও সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উদয়নের সেই চাঁচাছোলা মন্তব্য নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে। এরইমধ্যে এদিন সকাল থেকেই তপ্ত ভেটাগুড়ি। বিজেপির বিরুদ্ধে দলের জমায়েতে বোমাবাজির অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের বন্ধ কার্যালয় খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। ফের বিজেপিকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের উপর আক্রমণ হলে এলাকার দু’দিকে বিজেপিকে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে। এ ভাষাতেই সুর চড়িয়েছেন তিনি। সাফ বলেন, পার্টি অফিস খোলাটা তো কোনও সমস্যার নয়। কিন্তু, যেভাবে সন্ত্রাস এখানে তৈরি করা হয়েছে, তির ছোড়া হয়েছে ব্লক সভাপতিকে। এরপর তো ওরা যে ভাষায় কথা বলে আমরা সে ভাষা প্রয়োগ করতে বাধ্য হব। পিছনদিকে পুঁটিমারি সামনের দিকে ডাউনহাট, কোনও বিজেপি কর্মী ওপাশে রেল লাইন ক্রশ করতে পারবে না, এপাশে প্রান্তিক বাজার পার হতে পারবে না। এটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি। 

একইসঙ্গে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি এও বলেন, আমাদের এক কর্মীকে থাপ্পড় মেরেছে বিজেপির এক মস্তান। তাঁকে ১০ টা থাপ্পড় মারার নিদান দেন তিনি। তবে চুপ করে বসে নেই বিজেপিও। ভেটাগুড়িতে বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থকদের ঝাঁটা হাতে মিছিল করতে দেখা যায়। মিছিল থেকে উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে। 

পদ্ম শিবিরের দাবি, মন্ত্রী উদয়ন গুহ বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে শান্ত ভেটাগুড়িকে অশান্ত করছেন। তারই প্রতিবাদে মিছিল ভেটাগুড়ির বিজেপি মহিলা সমর্থকদের। তাঁদের দাবি, মন্ত্রী যেহেতু বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভেটাগুড়িতে অশান্তি করেছেন, তাই তাঁর দেখা পেলে মন্ত্রীকে ঝাঁটাপেটা করা হবে। এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থকদের। তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণ বলেন, “তৃণমূল তো গুলি বন্দুকের কোম্পানি। গোটা বাংলায় তো নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিজেদের লোকেদের মারছে। প্রশাসন তো অপদার্থ। কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষ তৃণমূলকে চাইছে না। তাই বোমা-বন্দুকের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মাটি ফেরানোর চেষ্টা করছে।”