Dinhata: পচে গেল সব প্রমাণ, জং ধরে গেল অস্ত্রে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে আতান্তরে CBI
Dinhata: সিবিআইয়ের আইনজীবী কৌশিক ভদ্র বলেন, "জলের জন্য তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নথি পচে গিয়েছে। যেভাবে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ট্যাঙ্কে ৫-৬ মাস আগে জল ঢুকেছে। না হলে নথি পচত না।"

দিনহাটা: ভোট পরবর্তী হিংসায় CBI-র চার্জশিট দেওয়া মামলায় তথ্য প্রমাণ নষ্টের মারাত্মক অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর। দিনহাটার এই মামলায় ২০২২ সালে চার্জশিট দেওয়ার পর আদালতে জমা দেওয়া খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, কাগজপত্র-সহ একাধিক তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ। যাবতীয় তথ্য প্রমাণ টিনের বাক্সে ভরে সকলের উপস্থিতিতে জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। তার ভেতরে মিলল জল। বিষয়টি দিনহাটা আদালতের নজরে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাক্সে জল ঢোকায় তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
ভোট পরবর্তী হিংসায় ২০২১ সালের ৩ মে খুন হন দিনহাটার বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ রায় ওরফে হারাধন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তে নামে সিবিআই। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত দা, কুড়াল, ছুরি, কাঁচি, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। সেই সব অস্ত্র-শস্ত্র ও সাক্ষীদের স্বাক্ষর এবং সিজার লিস্টে স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। তার সঙ্গে তদন্তকারী অফিসার ও CBI-এর অন্য অফিসারদের স্বাক্ষর করা হয়। সেই সব আটককৃত অস্ত্র-শস্ত্র ও তার উপরে সবার সইযুক্ত কাগজপত্র একটি মজবুত টিনের বাক্সে তালা চাবি লাগিয়ে দিনহাটা মহকুমা এসিজেএম আদালতে মোকদ্দমার চূড়ান্ত রিপোর্ট অর্থাৎ চার্জশিট-সহ জমা দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। ৮ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়।
তারপর আদালতের জিআরও অফিসের মালখানায় আদালতের তত্ত্বাবধানে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় সেগুলি রাখা হয়। পরবর্তীতে সেশন জজের আদালতে মোকদ্দমার শুনানি শুরু হয়। তখন আদালতের প্রয়োজন অনুযায়ী উক্ত সাক্ষীদের জবানবন্দির সময় আদালতের তত্ত্বাবধানে থাকা অস্ত্রশস্ত্রগুলি প্রমাণের জন্য উক্ত আদালতে জিআরও অফিসের মাধ্যমে আনা হয়। সেই মতো চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার সময় বাজেয়াপ্ত অস্ত্র-সহ টিনের বাক্স আদালতে আনা হয়। আদালতের নির্দেশে যখন বাক্সের তালা খোলা হয়, তখন দেখা যায় টিনের বাক্সে জল ভরা। তার ফলে বাক্সের মধ্যে থাকা সমস্ত মোকদ্দমার মূল্যবান বাজেয়াপ্ত অস্ত্রশস্ত্র ও মূল্যবান তথ্যগুলি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি সাক্ষীদের সইগুলি জল ঢোকার কারণে সম্পূর্ণভাবে মুছে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে সাক্ষীরা তাঁদের সামনে আটক হওয়া অস্ত্রশস্ত্রগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে চিনতে পারছেন না। এরপর বিষয়টি বিচারকের নজরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন CBI-এর আইনজীবী।
এই খবরটিও পড়ুন




সিবিআইয়ের আইনজীবী কৌশিক ভদ্র বলেন, “জলের জন্য তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নথি পচে গিয়েছে। অস্ত্রে জং ধরেছে। যেভাবে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ট্যাঙ্কে ৫-৬ মাস আগে জল ঢুকেছে। না হলে নথি পচত না।” তিনি আরও বলেন, “এর পিছনে কারা রয়েছেন, আমরা এখনও জানতে পারিনি। আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে। আদালত এখন কী বলে, সেদিকে তাকিয়ে আমরা।”





