মাথাভাঙা: কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। রোগীর পরিজনদের দাবি, অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ে খলিসামারির বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বর্মণকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ বর্মণকে একটি ইনজেকশন দেয়। ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর সেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এর পরই রবীন্দ্রনাথ বর্মণের মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনা ঘিরেই তুলকালাম কাণ্ড মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে।
ঘটনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বর্মণের আত্মীয় কমলেন্দু বর্মণ বলেন, “অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ে আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক দেখার পর ওয়ার্ডে উনি নিজে হেঁটে গিয়েছেন। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে উনার মৃত্যু হয়েছে।” এর পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পরিজনরা। খবর পেয়ে ছুটে আসে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মণ্ডল, কর্তব্যরত চিকিৎসককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে বের করে নিয়ে যান।
ঘটনা নিয়ে চিকিৎসক বলেছেন, “বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেছিলাম। ইসিজি করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয়। সময়ই পাওয়া যায়নি।”