কোচবিহার: কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ। দু’মাস আগে এখান থেকেই তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর আজ সেই সাহেবগঞ্জেই ‘আক্রান্ত’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় লক্ষ্য করে তির মারার অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেছেন নিশীথ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বলে খবর।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের স্ক্রুটিনিকে কেন্দ্র করে শনিবার সাহেবগঞ্জের বিডিও অফিস চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেখানে বিডিও অফিস দখল করে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দাবি করা হচ্ছে, যারা বিডিও অফিস দখল করে রেখেছিল, তারা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর অনুগামী। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। সেই সময়েই তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে তির মারা হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। বিষয়টি নিয়ে বিডিও অফিস চত্বরে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানাতে যান তিনি। তখন পুলিশের সঙ্গেও একপ্রস্থ বচসা শুরু হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সেই তির দেখিয়ে নিশীথ রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। নিশীথের দাবি, বাংলায় এক অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বললেন, ‘উদয়ন গুহর নেতৃত্বে পুলিশ আর বিধায়ক একসঙ্গে মিলে আমাদের মারছে। আমাদের লোককে তির মারছে।’ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বেজায় বিরক্ত নিশীথ। পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় নিশীথকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি মারছে, তির মারছে।’
নিশীথের কনভয় লক্ষ্য করে তির মারার অভিযোগ ওঠার পরপরই তিনি গাড়ি থেকে নেমে যান। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন তাঁকে। সাহেবগঞ্জের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সাহেবগঞ্জের বিডিও অফিস উদয়ন গুহর লোকেরা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ সুকান্তর।
যদিও সাহেবগঞ্জের ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তৃণমূল শিবির পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ টিভি নাইন বাংলার দাবি করেন, ‘এটা নিশীথ প্রামাণিকের সাজানো কথা, মিথ্যা কথা। নিশীথবাবু প্রথম দিন থেকেই বাইরে থেকে লোকজন এনে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকা দখল করার চেষ্টা করছেন।’