কোচবিহার: আরজি করের পর কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি (MSVP)-র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া থেকে ছাত্রদের নম্বর বাড়ানো! এই রকম একাধিক অভিযোগ উঠছে এমএসভিপি রাজীব প্রসাদের বিরুদ্ধে। আর তাঁর সরব ওই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন প্রফেসর তনয় মহন্ত। শুধু তাই নয়, এমএসভিপি রাজীব প্রসাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় প্রফেসর তনয় মহন্তকে স্বাস্থ্য ভবন রাতারাতি অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমজেএন মেডিক্যালের সূত্রের খবর, রাজীব প্রসাদ আবার উত্তরবঙ্গ লবিতেও বড় মাথা বলে পরিচিত।
অভিযোগ, আরজি করে যখন ময়নাতদন্ত নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে, সেই সময় এই মেডিক্যাল কলেজেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট বদলের জন্য চাপ দেওয়া হত। আর এই চাপ দেওয়া হত যাঁরা ময়নাতদন্ত করতেন তাঁদের দিকে। প্রফেসর তনয় মহন্ত বলেন, “এইগুলো হত। বহু কেস ছিল। আমাকে প্রিন্সিপালের মাধ্যমে হুমকি দিতেন রাজীব প্রসাদ। বলা হত, আমি নাকি সরকার বিরোধী কাজ করছি। আর এক বছর উনি কনভেনর ছিলেন। পরীক্ষক ছিলেন না। আর পরীক্ষক ছাড়া কনভেনরের কোনও অধিকার নেই নম্বর নিয়ে প্রভাব বিস্তার করা। পরীক্ষার শেষের দিন এসে উনি বলেছিলেন এই সমস্ত ছেলেদের নম্বর বাড়াতে হবে। এটা শুনে আমি আমার এক সহকর্মী বলেছিলাম এটা কী ভাবে সম্ভব? তখন বলেছিলেন তোরা যদি না করিস তাহলে বিশ্ববিদ্যাল থেকে পাশ করে যাবে। বিভিন্নভাবে থ্রেট দিচ্ছিলেন। এরপর আমি অভিযোগ করেছিলাম। উল্টে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।”
যাঁর বিরুদ্ধে গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ সেই এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, “এই সবের সঙ্গে কোনও লেনাদেনা নেই আমার। শেষ দুবছরে আমার মনে হচ্ছে না ওরা কোনও দিন ডেকেছে। সুতরাং, আমি ফেরেন্সিকের লোক হলেও এমএসভিপি-র কাজ বেশি করি। আর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করা যায় এটা আমার জানা নেই।”