
কোচবিহার: দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরই গোটা দেশজুড়ে তদন্তে নেমেছে এনআইএ (NIA)। সেই মতোই কোচবিহারের বাসিন্দা আরিফ হোসেনের বাড়িতে হাজির গোয়েন্দারা। তবে খোঁজ মেলেনি তাঁর। তবে এই ঘটনার পরই উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। অভিযোগ, ২০১৭ সালে ভোটার লিস্টে নাম তুলেছেন তিনি। মিলেছে আবাস যোজনার ঘরও। কিন্তু কীভাবে সম্ভব? গ্রাম প্রধানের স্বীকারোক্তি, সে সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না।
অভিযুক্ত প্রথমে দিল্লি-গুজরাটে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল। পরবর্তীতে নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে নান্দিনায় স্থায়ীভাবে বাস করে আরিফ। সব জানার পরেও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কেন পুলিশকে সবটা জানালো না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? যদিও গোবরাছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “২০১৭-১৮ সালে সরকারি দফতরের লোক এসে সার্ভে করেছিলেন। তারা ওই যুবকের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড দেখে সার্ভে করেছে। সেই ভিওিতেই ওর লিস্টে নাম এসে থাকতে পারে।” তবে প্রশ্ন উঠছে, কী করে বাংলাদেশির নাম ভোটার তালিকায় উঠল তাঁর? কোন জাদু বলে আধার কার্ড ও আবাস যোজনার ঘর পেয়ে গেলেন ওই বাংলাদেশি?
উল্লেখ্য, দিল্লির লাল কেল্লার অদূরে বিস্ফোরণের পর থেকেই সারা দেশজুড়ে এনআইএ হানা দেয়। গত বুধবার ভোর চারটা নাগাদ এনআইএর তিন সদস্যের বিশেষ টিম হানা দেয় কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার সীমান্ত গ্রাম নয়ারহাটের নান্দিনায়। সেখানে আরিফ হোসেন নামে এক যুবকের বাড়িতে চার ঘণ্টার বিশেষ অভিযান চালায়। সেখানে আরিফের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ তার যাবতীয় কাগজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। এবং তার একটি মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করে এনআইএ। আর এনআই-এর অভিযানের দেওয়া সিজার লিস্টে আরিফের বিরুদ্ধে যেসব ধারা দেওয়া হয়েছে তার বেশির ভাগটাই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আরিফের বাংলাদেশের পরিচয় স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি সায়রা বিবি নিজেই। স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে যখন এসআইআর এর আবহ,তখন বাংলাদেশি সন্দেহভাজন জঙ্গি কী করে এতরকম সুবিধা লাভ করতে পারে? উঠছে প্রশ্ন।