AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dinhata: গীতালদহ গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা মফজুর রহমান

Cooch Behar: গত ১৯ অগস্ট তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই এদিন গুলি চলে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২জন।

Dinhata: গীতালদহ গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা মফজুর রহমান
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 11:21 PM
Share

কোচবিহার: অবশেষে গীতালদহে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল (TMC) নেতা মফজুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস চত্বর থেকে মফজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মফজুর সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিল। এলাকার প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রাথপ্রতিম রায়ের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া গোষ্ঠীর সংঘাত ছিল। গুলিকাণ্ডে মফজুর রহমান ছাড়াও আব্দুল জলিল-সহ আরও কয়েকজন গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৯ অগস্ট তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই এদিন গুলি চলে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২জন। এক আহতের নাম আবুল জলিলি মিঞা। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিন থেকেই। এদিন সকালে এই সংঘর্ষ চরম আকার নেয়। সেখানেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। আজাদ ঘনিষ্ঠ নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।

জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়,  “কেউ বা কারা এই হামলায় জড়িত তা স্পষ্ট নয়। তবে যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে। তৃণমূল বিধায়ক এবং আমাদের দলেরই নেতার মধ্যে কোনও বিরোধ রয়েছে কি না জানিনা। যদি তেমন হয়ে থাকে তবে নিশ্চই খতিয়ে দেখা হবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে গোষ্ঠীকোন্দলের নাম করে কেউ যদি কোনও হামলা বা আক্রমণ করে থাকেন তবে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”  অন্য আরেক তৃণমূল নেতা বলেছেন, “এইসবই বিজেপির হার্মাদরা এই কাজ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জামা পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ঘোরাফেরা করছে। আমাদের কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। আমরা এর যোগ্য জবাব দেব।”

ঘটনায় বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকার বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতি ও ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে ওদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে ঝামেলা তার জেরেই এই গুলিবর্ষণ হয়েছে।”

আরও পড়ুন: দামোদরে সক্রিয় মাফিয়ারাজ, রাতের অন্ধকারে আটক ২৫টি বালি বোঝাই নৌকা

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: ‘গায়ক’ বাবুলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ‘রাজনীতিক’ জিতেন! কী এমন হল?