Jitendra Tiwari: ‘গায়ক’ বাবুলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ‘রাজনীতিক’ জিতেন! কী এমন হল?

Babul Supriyo: সম্প্রতি, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি চাঞ্চল্য় ফেলেছিল। শনিবার বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জিতেন্দ্রের প্রোফাইলে দেখা যায়, নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে।

Jitendra Tiwari: 'গায়ক' বাবুলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী 'রাজনীতিক' জিতেন! কী এমন হল?
ক্ষমা চাইলেন জিতেন্দ্র, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 9:34 PM

পশ্চিম বর্ধমান: মাত্র ২৪ ঘণ্টা। মাত্র একদিন না পেরতেই ফের বদল আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির ফেসবুক পোস্টে। সোমবারই বিজেপির কর্মিসভায় সদ্য তৃণমূলে (TMC) যোগদানকারী বাবুল সুপ্রিয়ের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন জিতেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুকেই ‘গায়ক’ বাবুলের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি (Jitendra Tiwari) ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে জিতেন্দ্র লেখেন, “বাবুল সুপ্রিয়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্যই আমি যারপরনাই দুঃখিত। কথা দিচ্ছি, এরপর কেবল রাজনৈতিকভাবেই বিরোধ থাকবে। কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নয়।” জিতেন্দ্রের এই মন্তব্যেই কার্যত জোরালো হচ্ছে জল্পনা। তাহলে কি ফের তৃণমূলের পথে ফিরতে চলেছেন জিতেন্দ্র?

সোমবার, কর্মিসভা থেকে জিতেন্দ্র (Jitendra Tiwari) বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ভাল কথা। তিনি সুগায়ক। তবে, ভাল তো রানু মণ্ডলও গেয়ে থাকেন। এমনকী আসানসোলের সাংসদের থেকে রানু মণ্ডলের জনপ্রিয়তা বেশি। নরেন্দ্র মোদীর ভোটের হাওয়ায় বাবুল জিতেছিলেন। ওঁর ক্ষমতা থাকলে আসানসোলের মাটিতে উপনির্বাচনে লড়াই করে দেখান। জিতে দেখান। তাহলে বুঝব। ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে যখন আক্রান্তরা আমাদের কার্যালয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন সাংসদকে এই চত্বরে দেখা যায়নি। বাবুল সুপ্রিয় ভাল সংগঠক নন। তিনি দল থেকে চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হয়নি।”

সম্প্রতি, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি চাঞ্চল্য় ফেলেছিল। শনিবার বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জিতেন্দ্রের প্রোফাইলে দেখা যায়, নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে। বদলে সেখানে জায়গা ‘রাজনীতি বর্জিত’ দ্ব্যর্থক মন্তব্য। কোথাও তিনি লিখেছেন, ‘একই অঙ্গনে ক্রমাগত কুস্তি করতে হলে কুস্তিগিররাও বন্ধু হয়ে যায়।’ কোথাও বা লিখেছেন, ‘তাদের থেকে সাবধান, যাঁরা ইতিহাসকে রহস্যে পরিণত করেন।’ জিতেন্দ্রের এ হেন পোস্ট থেকেই জল্পনার উদ্রেক। তাহলে কি বাবুলের পথেই হাঁটতে চলেছেন তিনি? ফিরতে চলেছেন নিজের পুরনো দলে?

সূত্রের খবর, ইদানিং আসানসোলেও থাকছেন না জিতেন্দ্র (Jitendra Tiwari)। বেশিরভাগ সময়েই কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবি হিসেবে প্র্য়াকটিস শুরু করেছেন বলেই সূত্রের খবর। বিজেপিতেও সক্রিয়ভাবে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। গত ২৬ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। তারপর থেকে আর আসানসোলে তাঁকে দেখা যায়নি।

শনিবার, বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগদানের পরেও ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়নি জিতেন্দ্রকে। বেশ ‘প্রফুল্লচিত্তেই’ তিনি বলেন, “বাবুলদা ভাল লোক। তিনি কোন দলে থাকবেন তা সম্পূর্ণই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে রাজনীতিতে ফুলস্টপ বলে কিছু হয় না। রাজনীতিতে সেমিকোলন, কমা চলতে পারে। ফুলস্টপ বলে কিছু নেই।” ফলে জল্পনা চলছিলই। কিন্তু, সোমবার নিজেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে উপস্থিত থেকে জিতেন্দ্র স্পষ্টই বুঝিয়ে দেন আপাতত দলবদলের কোনও চিন্তা তিনি করছেন না। তবে ফেসবুক পোস্টে কেনই বা এমন পরিবর্তন সেই ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন আবহে আচমকাই ফুলবদল করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। একবার দল ছেড়ে দিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত দলীয় পদ থেকে একরকম ব্রাত্য করেই রাখা হয় তাঁকে। অবশেষে গত ২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন জিতেন্দ্র।

আরও পড়ুন: Surjya Kanta Mishra: ‘কে অজন্তা, কীসের শোকজ়?’ অনিল-কন্যাকে চিনতেই পারলেন না সূর্যকান্ত!

আরও পড়ুন: Dev: ‘বাবুলদা আজ আমাদের দলে, কাল…’, বলেই থামলেন তারকা-সাংসদ!