Hospital : সরকারি হাসপাতালে প্রসব নিয়ে নাক উঁচু ভাব? দ্বিধা কাটাতে প্রসূতিদের নিয়ে পিকনিক
Hospital : সরকারি হাসপাতাল নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা কাটাতে অভিনব আয়োজন, গর্ভবতীদের নিয়ে হয়ে গেল পিকনিক।
নীলেশ্বর সান্যাল
কোচবিহার: প্রায়ই রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। খবরের শিরোনামেও উঠে আসে নানা হাসপাতাল (Hospital)। রোগীর পরিজনদের হামলার মুখে পড়েন চিকিৎসকরাও। উদ্বেগজনক পরিবেশের মধ্যেও এবার নতুন এক ছবি দেখা গেল মেখলিগঞ্জ সাবডিভিশন হাসপাতালে। কয়েকদিন আগে এই হাসপাতালই এক প্রৌঢ়ের অণ্ডকোষের বিরল অপারেশন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল স্বাস্থ্য মহলে। এবার সেখানে গর্ভবতীদের নিয়ে আয়োজন করা হল পিকনিকের। হাসপাতালের পরিবেশে কেমন, প্রসবকালে আদৌও কি সেখানে ভর্তি হওয়া যাবে, ভর্তি হলে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে কি না সবই এদিন দল বেঁধে দেখে গেলেন প্রসূতিরা।
অনেক সময়েই শোনা যায় সরকারি হাসপাতাল নাকি অপরিচ্ছন্ন। সেখানে প্রসব হলে শিশু নানারকম সংক্রমণের মুখে পড়তে পারে। সে কারণেই হাসপাতালে গর্ভবতীদের প্রসব করাতে অনেকেই পিছপা হন। পরিবর্তে অনেকেরই গন্তব্য হয়ে দাঁড়ায় নার্সিংহোম। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে প্রসবের ব্যবস্থা থাকলেও অনেকেরই দাবি তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়ে নার্সিংহোম বেছে নেন। গুনতে হয় মোটা টাকা।
হাসপাতাল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা কাটাতে শনিবার দুপুরে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সাবডিভিশন হাসপাতালে পিকনিকের আয়োজন করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৭০ জন প্রসূতি। ছিলেন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী সহ হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার দাস সহ অন্যান্য চিকিৎসক এবং নার্সরা। তাঁরা সকলেই এদিন হাসপাতালের পরিবেশ, ওটি সহ বিভিন্ন পরিষেবার খুঁটিনাটির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। ঘুরে দেখেন হাসপাতাল চত্বর।
দুপুরবেলায় ডাল, ভাত, মাছ, মাংস, চাটনি, মিষ্টি,পায়েস সহযোগে পিকনিক সারেন গর্ভবতী মহিলারা। হাসপাতালের পরিষেবা দেখে খুব খুশি মেনকা রায়, আছেমা বিবি সহ অন্য প্রসূতিরা। মেখলিগঞ্জ সাবডিভিশন হাসপাতালের সুপার ডাক্তার তাপস কুমার দাস বলেন, “সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা আছে। এই ধারণা কাটিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সেইজন্য আজ আমরা প্রসূতিদের নিয়ে একটা পিকনিকের আয়োজন করি। পিকনিক করতে এসে প্রসূতিরা হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ওটি এই সব দেখে গেলেন। তবে পিকনিকের পাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। চলে রক্ত পরীক্ষা। ব্লাড প্রেশার চেকও করা হয়। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভয়-ভীতি কাটাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।”