কোচবিহার: দলীয় পতারা পাশাপাশি জাতীয় পতাকা কাঁধো নিয়ে রাস্তায় নামল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ইনসাফ যাত্রা। কোচবিহার থেকে পায়ে হাঁটা শুরু করলেন দলের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতেই ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পৌঁছে গিয়েছিলেন কোচবিহারে। রাতভর চলে প্রস্তুতি। শুক্রবার সকাল ঠিক ১১টা থেকে পথচলা শুরু হয়েছে। প্রায় ২ মাস পর ২০০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যাদবপুরে শেষ হবে সেই কর্মসূচি। মীনাক্ষী বলেন, “সমাজের সব অংশের বেকার ছাত্র যুবরা আজ সব থেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই সবার জন্য ইনসাফ চাই। সবাইকে এই যাত্রায় যোগ দেওয়ার আহ্বন জানাব।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই কোচবিহার থেকেই নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পথ হেঁটে একের পর এক জেলায় গিয়েছিলেন তিনি। বিপুল জনসংযোগের কর্মসূচি ছিল ঘাসফুল শিবিরের। মীনাক্ষীর এই যাত্রায় তারই ছবি দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিতেই কি একই ধাঁচে পথে নামতে হচ্ছে মীনাক্ষীদের? যদিও মীনাক্ষী আগেই বলেছেন, তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন না তাঁরা, নেই খাবার-দাবারের এলাহি আয়োজনও। তাঁরা জেলায় জেলায় যাবেন, কর্মীদের বাড়িতেই বিশ্রাম নেবেন, সেখানেই খাবেন, আবার পথ চলবেন।
রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বাম নেত্রী বলেন, ‘ট্যাক্সের টাকা যখন নেতার বান্ধবীর খাটের তলায় পাওয়া যায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের রক্ত ঘামের টাকা যখন ওদের আলমারি থেকে বেরোয়, কৃষককে যখন তিন গুন দাম দিয়ে সার কিনতে হয়, তখন তাঁদের জন্য আমাদের ইনসাফ যাত্রায় নামতে হবে।’ কেন্দ্র বা রাজ্য, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেউই রাখেননি বলে দাবি করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, প্রায় দু হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটবেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্তের মতো নেতারা। সব ঠিক থাকলে পুরো কর্মসূচিতেই নেতৃত্ব দেবেন মীনাক্ষী। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং পেরিয়ে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান সব জেলাতেই যাবে ওই যাত্রা। আগামী ২২ ডিসেম্বর কর্মসূচি শেষ হবে যাদবপুরে। মোট ২৩টি জেলায় ১০০০ সভা করবে ডিওয়াইএফআই। উল্লেখ্য, অতীতে এভাবে কোনও সিপিএমের সংগঠনের কর্মসূচিতে তেরঙা পতাকা নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়নি।