Bangladeshi: বাংলাদেশে ‘অত্যাচারিত’ হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, কোচবিহারে ধরা পড়ল শিশু-সহ ৪ বাংলাদেশি
Bangladeshi: ধৃত ওই পরিবার জানিয়েছে, দালালকে কুড়ি হাজার টাকা করে মাথাপিছু দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে তারা। সারারাত ধরে কখনও ভুট্টা খেত, কখনও বাঁশঝাড় ও কখনও চা বাগানে লুকিয়ে থাকার পর ভোর রাতে অনুপ্রবেশ করে।

কোচবিহার: গত কয়েকমাস ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার হামলার অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পদ্মাপারের দেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশ করে ধরা পড়ল শিশু-সহ একই পরিবারের ৪ বাংলাদেশি। তাঁরা জানিয়েছেন, অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জন্মভিটে ছেড়ে ভারতে এসে বসবাসের চিন্তা করছিলেন তাঁরা। এর পাশাপাশি কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে অনুপ্রবেশ করা আর এক বাংলাদেশি যুবককেও শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃত ওই পরিবার জানিয়েছে, দালালকে কুড়ি হাজার টাকা করে মাথাপিছু দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে তারা। সারারাত ধরে কখনও ভুট্টা খেত, কখনও বাঁশঝাড় ও কখনও চা বাগানে লুকিয়ে থাকার পর ভোর রাতে অনুপ্রবেশ করে। তবে ধাপড়া বাজারে আসতেই তাদের গ্রেফতার করে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন সুজনচন্দ্র রায়, মাধবী রানি রায়, নিদ্রা রানি রায় ও সৌম্যদীপ রায়। ধৃতদের বাড়ি নীলফামারি জেলার ডোমার থানায়। তাঁদের সীমান্ত পারাপারে সহায়তায় এক ভারতীয় যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে শনিবার আদালতে পেশ করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে চোরাপথে আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশ করে কুচলিবাড়ি থানা এলাকার ধাপড়া বাজারে আসে পাঁচ বাংলাদেশি। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের পরিচয় স্বীকার করে বাংলাদেশিরা। তারপর তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের মধ্যে সুজন ও মাধবী স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের এক সন্তান ও সুজনের শ্যালিকা রয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন




এই পরিবারের মারাত্মক অভিযোগ। মাধবীর বক্তব্য, “বাংলাদেশে আমাদের পাশের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের বাড়িও পুড়ে যায়। মাঝেমধ্যেই চলে অত্যাচার। সেই কারণে বাবা মা বলেছে তোমরা ভারতে গিয়ে সুখে থাকো।” সুজনের বক্তব্য, “ভারতে এসে কোনও কাজ করে সংসার চালানোর জন্যই দেশ ছেড়ে এসেছি।”





