
তুফানগঞ্জ: একদিকে বিজেপি যখন পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় ক্রমেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তখন এবার আসরে নেমে পড়ল বামেরাও। শনিবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে যাত্রার সূচনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। হয়ে গেল উদ্বোধনী সমাবেশ। ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ দলের ছাত্র-যুব ফ্রন্টের বড় অংশ। বামেদের এই রাজ্যজোড়া কর্মসূচিতে থাকছে মোট ১১টি জেলা। তবে যাত্রাপথে থাকছে না হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতার মতো জেলা। শনিবার তুফানগঞ্জের দোলমেলা মাঠ থেকে শুরু হয়ে গেল এই কর্মসূচি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শেষ হবে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও যে বামেদের অবস্থা বিশেষ ভাল তা নয়। শেষ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বলছে কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬টি বিধানসভাই বিজেপির। তিনটি তৃণমূলের হাতে। তবে শেষ লোকসভা নির্বাচনে খেলা ঘুরিয়েছে তৃণমূল। কোচবিহার আসনে জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। সিতাই উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাই। ধারেভারে সব ক্ষেত্রেই তিন নম্বর জায়গাটা বামেদের খাতায়। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই কোচিবহারকে পাখির চোখ করেই বাংলা বাঁচানোর ডাক দিলেন সেলিম-মীনাক্ষীরা।
এদিনের সমাবেশ থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় মীনাক্ষীকে। সুর চড়িয়ে বলেন, “বিজেপির কর্মীরা শুনে রাখুন আপনাদের নেতারা চায় বলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারটা আছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হয়ে গেল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই সরকার উৎখাত হল না। উৎখাত যদি করতে হয় তাহলে লাল ঝান্ডা একমাত্র বিকল্প।”
তবে পাল্টা যে তৃণমূল, বিজেপিও ছেড়ে কথা বলছে এমনটা নয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সিপিএম হচ্ছে তৃণমূলের বি টিম। তৃণমূল বিরোধী ভোট কেটে তৃণমূলকে জেতানোই সিপিএমের কাজ। এই লোকসভায় আড়াই লক্ষ ভোট কেটে সুজন চক্রবর্তী তিনি সৌগত রায়কে জিতিয়েছেন। ওদের বোঝাপড়া রয়েছে।” তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী তো খোঁচা দিয়ে বলছেন, “উদ্যোগটা ওদের খুব ভাল। শুধু নামটা বাংলা বাঁচাও যাত্রার বদলে সিপিএম বাঁচাও করলে ভাল হতো।”