দিনহাটা: কোচবিহারের দিনহাটায় চুরি গেল মিড-ডে মিলের চাল। প্রায় ২৫ কুইন্ট্যাল চাল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দিনহাটায়। জানা গিয়েছে, পর-পর দুই দিন স্কুল ছুটির পর যখন গুদামঘর খোলা হয় তখনই এই দৃশ্য সবার নজরে আসে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চক্ষুচড়ক গাছ হওয়ার জোগাড় বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে পরিচালন কমিটির সদস্যদের।
ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা এক ব্লকের গিতালদহ উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঘটনার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজীব হোসেন সরকার জানান, “গত ৪ সেপ্টেম্বর স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং পরপর দুই দিন স্কুল বন্ধ ছিল। এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর যখন মিড ডে মিলের রাঁধুনীরা বাচ্চাদের রান্না করার জন্য যখন গুদাম থেকে চাল চায় ঠিক সেই সময় দেখে ঘরের তালা খোলা অবস্থায় রয়েছে।” রাজীববাবু জানিয়েছেন, তালা খোলা অবস্থায় থাকার দরুণ সন্দেহ হয়। এরপর তিনি বাকি শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে সেই গুদাম ঘরে ঢোকেন। দেখতে পান গুদাম ঘরে মজুতকৃত চালের বস্তার পরিমাণ অনেকটাই কম রয়েছে।
ঘটনার পর গুদামে মজুত চালের বস্তার সংখ্যার সঙ্গে মিড ডে মিলের রেজিস্টার এর হিসাব মিলিয়ে দেখা যায় ৫০ বস্তা চাল উধাও হয়েছে। রাজীববাবুর বক্তব্য, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় তিনি তৎক্ষণাত প্রধান শিক্ষককে ফোন মারফত ঘটনার সবিস্তারে জানান। একইসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জকে লিখিত অভিযোগ করেন। পরেরদিন অর্থাৎ ৮ তারিখ প্রধান শিক্ষক স্কুলে এলে তাকেও ঘটনা সবিস্তারে জানিয়ে অভিযোগ করেন।
অপরদিকে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজিব হোসেন সরকার তাকে চাল চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে কত বস্তা চাল চুরি গিয়েছে সে বিষয়ে সঠিক হিসেবে প্রধান শিক্ষকের কাছে নেই।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের চাল চুরির ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিদ্যালয়েরই দুই শিক্ষকের নাম এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করেছেন বিদ্যালয়ের আর এক শিক্ষক রূপক চক্রবর্তী।
এই বিষয়ে গিতালদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি মোস্তফা খন্দকার বলেন, “চাল চুরির ঘটনায় তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করছেন।”