Coochbehar Police Super: মাঝরাতে হঠাৎ রাস্তায় নেমে মার! খোদ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেই উঠল অভিযোগ

Coochbehar Police Super: আক্রান্ত পরিবারের দাবি, তাদের বাড়ির পাঁচজন শিশুকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি দেখে বাড়ির একজন মহিলা ও পুরুষ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে আক্রান্ত পরিবার। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার।

Coochbehar Police Super: মাঝরাতে হঠাৎ রাস্তায় নেমে মার! খোদ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেই উঠল অভিযোগ
ঘটনার রাতের ফুটেজImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 21, 2025 | 5:23 PM

কোচবিহার: পরণে স্যান্ডো গেঞ্জি। রাতের রাস্তায় নেমে আচমকা মারধর। খোদ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাজি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে এক মহিলা ও তার পরিবারের শিশুদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। শুধু পুলিশ সুপার নয়, আঙুল উঠেছে একাধিক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। সুপারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে চান তাঁরা।

কালীপুজোর রাতে বাজি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। এক মহিলা, তাঁর স্বামী ও পরিবারের শিশুদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেলঘুমটি এলাকায়। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়েছে সেই ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য লাঠি হাতে একজনকে আঘাত করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

আক্রান্ত পরিবারের দাবি, তাদের বাড়ির পাঁচজন শিশুকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি দেখে বাড়ির একজন মহিলা ও পুরুষ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে আক্রান্ত পরিবার। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার। তিনি দাবি করেন, কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পর এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপারের স্ত্রীর দাবি, মধ্যরাতে ওইভাবে বাজি ফাটানো অভিপ্রেত ছিল না। তিনি বলেন, রাত দেড়টার সময় সজোরে বাজি ফাটানো চলছিল। এখানে বহু বয়স্ক মানুষের বাস। বাড়িতে পোষ্যরা আছে। তাই এটা করা মোটে ঠিক হয়নি। এদিকে এক প্রতিবেশী বলেন, “পুলিশ নিজেই যদি গুণ্ডামি করে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে! আমরা পুলিশ সুপারের কঠোর শাস্তি চাই।” প্রয়োজনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।