
কোচবিহার: বিজেপির কর্মসূচির আগেই রণক্ষেত্রে কোচবিহারের তুফানগঞ্জন। হামলার মুখে বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভারা। পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তুফানগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি জমা দেবে বিজেপি। কর্মসূচি আটকাতেই এই হামলা বলে দাবি পদ্মশিবিরের।
কেন উত্তপ্ত তুফানগঞ্জ?
সোমবার বিজেপির তুফানগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেখানে যোগ দিতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মালতী রাভা সহ অন্য বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি,তারা যাতে সেই কর্মসূচি করতে না পারে সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় তাদের উপর। পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপির এক নেতাকে। এরপরই এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে যে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ঘাঁটি শক্ত, সেখানেই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে তাদের। কখনও আলিপুরদুয়ার, কখনও জলপাইগুড়ি আর এবার কোচবিহার। উত্তরবঙ্গে দুর্গতদের ত্রাণ দিতে গিয়ে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন দুবার। বিক্ষোভের মুখ পড়তে হয় তাঁকে। এমনকী, বিয়ারের বোতল উঁচিয়ে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। বিধায়ক সেই সময়ই দাবি করেছিলেন এর পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে। এমনকী, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ। এরপর কোচবিহারে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকেও মারধর করা হয়। উত্তরবঙ্গে যেতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁরা। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন খগেন। আর এবার কোচবিহারে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।