দিনহাটা (কোচবিহার): ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের (Coochbehar) দিনহাটার (Dinhata) গীতালদহ। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। যার জেরে চলল গুলি। আহত উভয় গোষ্ঠীর দুই সমর্থক।দু’জনের মধ্যে একজনের নাম জমসের আলি ও রাজু হক। তাঁরা দু’জনই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের মধ্যে রাজু হকের নামে পুরনো মামলা থাকায় দিনহাটা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতের মধ্যেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। অপরদিকে, জমসের আলির অবস্থা সংকটজনক।
জানা গিয়েছে, রাজু গিতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মাফুজার রহমানের ঘনিষ্ঠ অপরদিকে জমসের আলি প্রাক্তন অঞ্চল প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি আবু আল আজাদের ঘনিষ্ট। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই কোন্দল চলে আসছে।
আহত জমসের আলির স্ত্রী অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। বর্তমান সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার ঘনিষ্ট তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাহফুজুর রহমানের লোকজন আজ তাঁর বাড়িতে গিয়ে বোমাবাজি করে এবং সকলকে মারধর করে। তারপর ভয়ে জমসের আলি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার পিছু ধাওয়া করে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে তাকে ধরে ফেলে এবং বেধরক মারধর করে।
অপরদিকে প্রাক্তন প্রধান আবু আল আজাদ অভিযোগ করে জানান, বর্তমান অঞ্চল সভাপতি মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বেই কিছু দুষ্কৃতী এভাবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলছে। আজ জমশের আলি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করে।
তবে মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি মাহফুজুর রহমান পাল্টা অভিযোগ করেন জম সেনারি লোকজনেই রাজু হককে মারধর করে এবং তার পায়ে গুলি করে। বিজেপি নেতা জয়দেব ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের দলটা স্বৈরাচারীর দল। এরা নিজেদের মধ্যে কোন্দল করেই শেষ হয়ে যাবে। এরপরে এদের কোন্দলের ফলে তৃণমূলের দলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”