কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মুখে কোচবিহার দাওয়াইয়ের কথা শুনে বেজায় চটেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। বলেছিলেন, বিছুটি পাতার দাওয়াইয়ের কথা। আর এবার ফের বেলাগাম উদয়ন। আরও নতুন তত্ত্ব উঠে এল উদয়নের মুখে। এবার ‘বাঁশের ডলা দেওয়ার’ দাওয়াই শোনা গেল উদয়ন গুহর গলায়। শান্তিপূর্ণ ভোটের পক্ষে সওয়াল করে উদয়ন বললেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু পায়ে পা লাগিয়ে যদি কেউ গন্ডগোল করতে আসে, তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এমন বাঁশ ডলা দেবে যাতে ওরা আর গ্রামে আসার সাহস না পায়।”
এদিন কোচবিহারে তৃণমূলের এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন উদয়ন গুহ। সেই সময়ই এই মন্তব্য করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার যে কোচবিহার দাওয়াইয়ের কথা এর আগে বলেছেন, সেই কথাও উঠে আসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর গলায়। সুকান্তর কোচবিহার দাওয়াইয়ের ব্যাখ্যা এদিন ফের একবার দেন উদয়ন। বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে নাকি কোচবিহার দাওয়াই দেওয়া হবে। উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দিয়েছে মেরে, এটা কোচবিহার দাওয়াই। এই দাওয়াই নাকি প্রয়োগ করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তিতে ভোট চাই। গ্রামের মানুষ শান্তিতে থাকুক, আমরা সেটা চাই।”
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মহিলাদের এগিয়ে আসার কথাও বলেন তিনি। মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের হাতে বড় অস্ত্র আছে। ঝাঁটা। যদি সেই ঝাঁটা নিয়ে আপনারা রাস্তায় নামেন… এক হাতে খুন্তি, এক হাতে ঝাঁটা নিয়ে যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, তাহলে ওরা পালানোর পথ পাবে না। এই গ্রামের মুখো আর হবে না।”
সব মিলিয়ে গতকাল সুকান্ত মজুমদার যে কোচবিহার দাওয়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, তা নিয়েই আপাতত তপ্ত জেলার রাজনীতি। পাল্টা আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল শিবিরও। রবিবার ‘বিছুটি পাতা’র তত্ত্ব, আজ আবার ‘বাঁশডলা দেওয়ার’ তত্ত্ব… ভোটের আগে ক্রমেই বাড়ছে রাজনীতির পারদ।