Udayan Guha: মুখ্যমন্ত্রীর ফোঁস-পরামর্শের পর উদয়ন দিলেন দংশন-নিদান

Suman Kalyan Bhadra | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 02, 2024 | 12:01 PM

Udayan Guha: মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোঁস নিদানের পরই দিকে দিকে তৃণমূলের নেতা-কাউন্সিলররা ফোঁস করছেন, আর বিতর্কে জড়াচ্ছেন। বিতর্কে জড়িয়েছেন, তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক, তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বড়জোড়ার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কালিদাস মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।

Udayan Guha: মুখ্যমন্ত্রীর ফোঁস-পরামর্শের পর উদয়ন দিলেন দংশন-নিদান
উদয়ন গুহ (ফাইল ছবি)
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন ফোঁস পরামর্শ। আর তারপরই লাগামছাড়া উদয়ন গুহ। ফোঁস নয়, দিলেন একেবারে দংশন করার নিদান। দিনহাটায় তৃণমূলের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন, “পরিকল্পিতভাবে বদনাম করা হচ্ছে । মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন । সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে । এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে এসব বাড়তে থাকবে।”

 গত বুধবার TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের দিয়েছিলেন ফোঁস করার নিদান। তিনি বলেছিলেন,  ‘আগামী দিন আপনাদের কাজ হচ্ছে চক্রান্তকারীদের মুখোশ খুলে দিয়ে ফোঁস করতে শিখুন।’  আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলার প্রতিটি ব্লকে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। গত শনিবার দিনহাটায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের।

দিনহাটায় তৃণমূলের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বদনাম করা হচ্ছে । মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন । সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে । এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে । তা না হলে এসব বাড়তে থাকবে । তাই ১ বার কেউ দংশন করলে, ৫ বার দংশন করতে হবে। ওরা যদি একটা দাঁত বসায়, তাহলে আমরা পাঁচটা দাঁত বসানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। তাহলে মিথ্যাচার বন্ধ হবে।”

মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোঁস নিদানের পরই দিকে দিকে তৃণমূলের নেতা-কাউন্সিলররা ফোঁস করছেন, আর বিতর্কে জড়াচ্ছেন। বিতর্কে জড়িয়েছেন, তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক, তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বড়জোড়ার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কালিদাস মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।

এর আগে রাত দখলের আন্দোলনের আগেও উল্টো সুর গেয়েছিলেন উদয়ন। হুমকির সুরেই বলেছিলেন, ‘ দিনহাটার কেউ কেউ কাল রাতের দখল নিতে চাইছেন। আমার সমর্থন থাকল। তবে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে ফোন করবেন না।’ তিনি বলেন,  “গ্রামের মদের ঠেক বা লটারির দোকান এসবের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হয়, তখন গ্রামের সাধারণ মহিলারাই আন্দোলন করেন। কোনও জিন্স প্যান্ট পরিহিতা সেখানে আন্দোলন করেন না। কারণ সেই আন্দোলন কোনও টিভিতে দেখা যায় না। তারা সেসব আন্দোলন-ই করেন যেগুলো টিভিতে দেখা যায় বা ইংরেজি পত্রিকায় ওঠে।” সে সময়েও বিতর্ক উঠেছিল তুঙ্গে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “রাজনীতি করলে এই ধরনের কথা বলার অধিকার কোথা থেকে এসেছে। মানুষই জবাব দেবে।”

Next Article