Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আর কেউ যেন সন্তানহারা না হন’, মৃত তৃণমূল ছাত্রনেতার বাবা-মা যোগ দিলেন বিজেপিতে

২০১৮ সালে বছর দিনহাটা কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)-এর নেতা অলোক নিতাই দাসকে পিটিয়ে খুন করা হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর বাবা-মা যোগ দিলেন বিজেপিতে।

'আর কেউ যেন সন্তানহারা না হন', মৃত তৃণমূল ছাত্রনেতার বাবা-মা যোগ দিলেন বিজেপিতে
নিজস্ব ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2021 | 7:17 PM

কোচবিহার: কলেজে ভর্তির সময় টাকা তুলছিল বহিরাগতরা। তার প্রতিবাদ করেছিলেন কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র। এ নিয়ে বছর দুই আগে কোচবিহারের দিনহাটা কলেজের তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ঘোষ্ঠীসংঘর্ষে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অলোক নিতাই দাসের। সোমবার সেই মৃত ছাত্রের বাবা-মা যোগ দিলেন বিজেপিতে।

মঙ্গলবার নিহত ছাত্র নেতা অলোক নিতাই দাসের বাবা হেমন্ত দাস ও মা কদমবালা দাস দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে। মৃত ছাত্রের বাবার কথায়, আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্য সেদিন তাঁর ছেলেকে হারাতে হয়েছিল। আর কোনও বাবা-মা যেন সন্তানহারা না হন। তাই তাঁদের সস্ত্রীক বিজেপিতে যোগদান।

২০১৮ সালে বছর দিনহাটা কলেজের এই ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অলোক ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। অন্যদিকে তাঁর বাবা-মা তৃণমূলের কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সেই অলোকের বাবা-মায়ের গেরুয়া শিবিরে নিয়ে এসে চমক দিলেন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে নামা নিশীথ প্রামাণিক। এদিন দিনহাটায় বিজেপির দলীয় অনুষ্ঠানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অলকের বাবা হেমন্ত দাসের কথায়, যখন তৃণমূলে কেউ ছিল না সেই সময় থেকে তিনি রাজনীতি করেছেন। দলের হয়ে কাজ করেছেনও। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর পর সুবিচার পাননি। দোষীদের শাস্তি হয়নি। তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে পুত্রহারা কদমবালা দাসকে দেখা যায় শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে।

আরও পড়ুন: ‘শিষ্টাচার জলাঞ্জলি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’, ‘মাদার ফিগার’কে নিশানা রাজীবের

হেমন্তবাবুর দাবি, আইন শৃঙ্খলা অবনতির কারণে সেদিন তাঁর ছেলে যেভাবে মারা গিয়েছে, আর কারও বাবা-মাকে যেন এভাবে সন্তানহারা হতে না হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায় নিহত অলোকের বাবাকে।