Bangladesh Hindu Death: বাংলাদেশে দীপু দাস খুনের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ, ধৃত ১২ জনের জামিন মঞ্জুর আদালতের
Bangladesh Hindu Death: এদিন আদালতে পুলিশের তরফ থেকে ১২ জনের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের আন্তর্জাতিক যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, তদন্তে ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশকে পেটানো হয়েছে। ইনজুরি রিপোর্ট রয়েছে।

কলকাতা: বাংলাদেশে দীপু হত্যার প্রতিবাদের আঁচ কলকাতাতেও। তপ্ত শহর। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত ১২ জন বিক্ষোভকারীর জামিন মঞ্জুর করল আলিপুর আদালত। তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৭ জনের জামিন আগেই হয়েছিল। এবার ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
মঙ্গলবার বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশের অফিসের সামনে চলে তীব্র বিক্ষোভ। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের দিকে কুশপুতুল পুড়িয়ে ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। তাণ্ডবে আট জন পুলিশ কর্মী জখম হন। এই ঘটনায় মোট ১৯ জন গ্রেফতার করা হয়েছিল। বুধবার তাঁদের তোলা আলিপুর আদালতে। সেখানেই মোট ১২ জন পুরুষ অভিযুক্তকে দু’দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। শুক্রবার ১২ জনকে আদালতে পেশ করা হয়।
এদিন আদালতে পুলিশের তরফ থেকে ১২ জনের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের আন্তর্জাতিক যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, তদন্তে ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশকে পেটানো হয়েছে। ইনজুরি রিপোর্ট রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য দেখা দরকার। এই ঘটনার পর একই সংগঠন আবার বিক্ষোভ দেখাবে। আবার অশান্তি হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। তদন্তে সহযোগিতা করছে না।”
সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, “হাই কমিশনে গিয়ে অন্য ঘটনা ঘটিয়ে অন্য মাত্রা দিতে চাইছে। এমন পরিস্থিতি করতে চাইছে যে মনে হবে আমরা হাই কমিশনে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। পুলিশকে এমনভাবে মারা হয়েছে, যে হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেলেও ডাক্তার বলছে এখন কাজে যোগ দেওয়া যাবে না।”
সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভেঙেছে, কুশপুতুল পুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মেরেছে। সেদিন একই ঘটনা হাই কমিশনের ভিতরে করতে পারতো। আজও একই ঘটনা ঘটানোর জন্য একই সংগঠন কর্মসূচি করতে নেমেছে।
তখন আদালতে অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী সওয়াল করেন, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু তার প্রেক্ষিতে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তাঁর প্রশ্ন, দুদিনের তদন্তে খুনের চেষ্টার কি প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ?
