Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভ্রান্তিবিলাস! করোনায় মৃত বাবাকে দাহ করে তিন দিন পর ফিরে পেলেন ছেলে

৫২ বছর বয়সী মনোজবাবু কিছুদিন আগে হায়দরাবাদ থেকে বাড়ি ফেরেন। এসেই ধুম জ্বরে  পড়েন। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ।

ভ্রান্তিবিলাস! করোনায় মৃত বাবাকে দাহ করে তিন দিন পর ফিরে পেলেন ছেলে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 01, 2021 | 7:57 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: করোনায় মৃত বাবাকে দাহ করে ফিরেছেন ছেলে। বাড়িতে শোকের আবহে কেটে গিয়েছে তিন তিনটে দিন। আচমকা শনিবারের বারবেলা একটা ফোন পেলেন ছেলে। ওপার থেকে ভেসে এল কণ্ঠস্বর, ‘বাবা সুস্থ, নিয়ে যান।’ ঘটনার আকস্মিকতায় কেঁদে ফেললেন ছেলে বুলেট।

পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার পঁচেটগড় দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনোজ মাইতি। ৫২ বছর বয়সী মনোজবাবু কিছুদিন আগে হায়দরাবাদ থেকে বাড়ি ফেরেন। এসেই ধুম জ্বরে পড়েন। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ। এর পর স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ দফতরের সহযোগিতায় চণ্ডীপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেটা দিন দশেক আগের কথা। প্রতিদিন বাড়ি থেকে খোঁজ নেওয়া হত।হাসপাতাল থেকেও জানান হত ভাল আছেন তিনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছেলে সুরজিৎ ওরফে বুলেটের কাছে খবর আসে তাঁর বাবা গত হয়েছেন।

সেদিনই পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে বুলেট চলে যান দিঘায়। সেখানে কোভিড বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দেহ সৎকার করেন তাঁরা।

শনিবার ফের বুলেটের কাছে একটা ফোন এল চণ্ডীপুর কোভিড হাসপাতাল থেকে। এবার জানানো হল, ‘আপনার বাবা সুস্থ, বাড়ি নিয়ে যান।’ ঘটনার আকস্মিকতায় কেঁপে ওঠেন সদ্য পিতৃহারা শোকে মুহ্যমান ছেলে। ছুটে যান হাসপাতালে। এখন বাড়িতে রয়েছেন মনোজবাবু।

এদিকে এই খবরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ছেলে সুরজিৎ মাইতি আবার পটাশপুর দুই নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এই ঘটনায় তিনি আঙুল তুলেছেন প্রশাসনের দিকে। জানা গিয়েছে, সমনামে মৃত আর এক ব্যক্তির দেহ তুলে দেওয়া হয়েছিল সুরজিতের হাতে।

আরও পড়ুন: ‘বদলে গিয়েছে মৃতদেহ’! দাহ করার আগের মুহূর্তে ফোন হাসপাতালের, অতঃপর…

যদিও এত বড় ভুলের পরও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাত ফুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের গণনা। তাই প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ব্যস্ত। ফলে বারবার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।