AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chandannagar Train Loot: ট্রেনে ভিখারি দেখলেই সাবধান! নইলে আপনার অবস্থাও এই দম্পতির মতো হতে পারে

Old Couple: জালিমবাবুর অনুপস্থিতি সুযোগ নিয়ে ওই দম্পতির ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে থেকে নেমে যায় ওই ভিখারি। ব্যাগে টাকার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও ছিল।

Chandannagar Train Loot: ট্রেনে ভিখারি দেখলেই সাবধান! নইলে আপনার অবস্থাও এই দম্পতির মতো হতে পারে
ছবি: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 9:02 PM
Share

চন্দননগর: দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত বাঙালির ভরসা ট্রেন। এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপেই পরিবার বা প্রিয়জনের হাত ধরে ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে রওনা দেওয়া। বিমানের টিকিট বেশিরভাগ মধ্যবিত্তের আওতার বাইরে। সেই কারণে ট্রেনেই ভরসা। কিন্তু ট্রেনে চেপে ঘুরতে গিয়ে এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে, এমনটা হয়ত স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি এই দম্পত্তি। চরম বিপত্তির মুখে পড়ে রেলওয়ে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেও সেই রকম কোনও সাহায্য মেলেনি। এই ঘটনার পর, দূরপাল্লার ট্রেনে (Express Train) নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গত ১১ই মার্চ গোয়া (Goa) বেড়াতে গিয়েছিলেন হুগলির চন্দননগর (Chandannagar) সুখসনাতনতলার একটি আবাসনের বাসিন্দা জালিম সিংহ রায় ও তাঁর স্ত্রী কাবেরী সিংহ রায়। ২২ মার্চ গোয়া থেকে বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা ভাস্কো দা গামা-শালিমার এক্সপ্রেসে ওঠেন। ওড়িশার খুরদা স্টেশন আসতেই ওই দম্পতির জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

জালিম সিংহ রায়ের অভিযোগ ভিখারি সেজে তাঁর কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলেন একজন। সেই সময় তাঁর স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। শারীরিক সমস্যা থাকায় সেই ভিখারির কথা শুনতে শুনে প্রস্রাব করা জন্য তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন। এই মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল ওই ভিখারি রূপী দুষ্কৃতী। জালিমবাবুর অনুপস্থিতি সুযোগ নিয়ে ওই দম্পতির ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে থেকে নেমে যায় ওই ভিখারি। ব্যাগে টাকার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও ছিল। অন্যান্য যাত্রীর চিৎকার করতে ঘুম থেকে উঠে কাবেরী দেবী ওই চোরের পিছনে ধাওয়া করেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে তাঁকে ধরা সম্ভব হয়নি। খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধারে ওই দম্পতি আরপিএফের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে। ফোন পেয়ে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও খোওয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার হয়নি।

এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবে ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জালিমবাবুর প্রশ্ন, “রেলের ভাড়া বেড়েছে। আমরা সেই ভাড়া দিয়ে ট্রেনের টিকিট কেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। রিজার্ভবেশন কামরাতেও নিরাপত্তার লেশমাত্র নেই। আমি যদি তখন শৌচাগারে না থাকতাম তবে ও চোরকে বাধা দিতাম। তবে আমি নিশ্চিত ওই চোরের কাছে অস্ত্র ছিল। বাধা দিলে আমার প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল।” টাকার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে ঘোরতর সমস্যার মুখোমুখি ওই দম্পতি। রেলের কাছে তাদের আবেদন এক্সপ্রেস ট্রেনে যেন রেলের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, নইলে অনেককেই তাদের মতো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

আরও পড়ুন Gold Hidden In Shoes: বিমানবন্দরে নেমেছিলেন দুবাই ফেরত যাত্রী, জুতো খুলতেই ‘ঝুলি থেকে বেড়াল’ বেরিয়ে পড়ল…