
হাওড়া: মঙ্গলবার সকালে আচমকা হাওড়ার এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজে দেখা দিল ফাটল। এটি হাওড়ার বাঙালবাবু ব্রিজ। হাওড়াবাসীর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু। মধ্য হাওড়া সঙ্গে উত্তর হাওড়া তথা বালি-বেলুড়-লিলুয়ার সংযোগ স্থাপনকারী ব্রিজ এটি। হাওড়ার অন্যতম ব্যস্ত সেতু এই প্রাচীন রেল ওভারব্রিজ। এতে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
ফাটল ধরার কারণ স্পষ্ট নয়, তবে এই ব্রিজের পাশেই রেলের তরফ থেকে তৈরি করা হচ্ছে একটি অন্য ফ্লাইওভার। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, সেটি তৈরি করার সময় যে ভাইব্রেশন হচ্ছে, তার জেরেই এই ফাটল ধরেছে বাঙালবাবু ব্রিজের ফুটপাত সহ গার্ডওয়ালে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে বাঙালবাবু ব্রিজে।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। রেলের উদাসীনতা ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। হাওড়া পুরসভার তরফে সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়েছে রেলের বিরুদ্ধে। রেলের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। যদিও রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এই বিষয়ে নিয়ে রেলের তরফে একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে আজ মঙ্গলবার। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, কী কারণে এমন ফাটল তা জানা নেই। এই বিষয় নিয়ে বৈঠক হবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন এলাকার মানুষ।
বাঙালবাবু ব্রিজের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্যই নতুন ওভারব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। গত অগস্ট মাসে দ্বারকেশ্বর নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে রামকৃষ্ণ সেতু। বছরখানেক আগে থেকে ঝুলছিল ‘দুর্বল সেতুর’ বোর্ড। ঘটনার কয়েকদিন আগেই ওই সেতুর উপর দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েকদিন পরই ভেঙে পড়ে ওই সেতু। বারবার বিভিন্ন সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।