Bridge Collapsed: কয়েকদিন আগেই এই সেতুর উপর দিয়ে গিয়েছিলেন মমতা, আজ ভেঙে পড়ল একাংশ! রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন
Bridge Collapsed: দক্ষিণবঙ্গের বড় অংশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতুর গুরুত্ব যে বেশ ভালই তা এর রুটের বহর দেখলেই বোঝা যায়। এই সেতুর উপর দিয়ে পাঁচ থেকে ছয়টি জেলার যাত্রীবাহী-বাস সহ অন্যান্য যান চলাচল করে।

আরামবাগ: ফের সেতু বিপর্যয়। আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদের উপরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল রামকৃষ্ণ সেতুর একাংশ। শনিবার মধ্যেরাতে আচমকা এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। যে অংশ ভেঙেছে, তার পরেরও অংশেও ধরেছে ফাটল। এলাকার লোকজন বলছেন, যা অবস্থা তাতে ওই অংশও যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। সেতুর অবস্থা যে বেহাল তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। একাধিক যায় রীতিমতো দোলা লাগছিল, বেশ কয়েকটি জায়গা কাঁপছিলও, ফাটলও ধরেছিল। এদিকে ৫ অগস্ট এই রামকৃষ্ণ সেতুর উপর দিয়েই কামারপুকুর, ঘাটালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফলে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি খোদ মমতার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। প্রায় বছরখানেক আগে থেকে ঝুলছিল ‘দুর্বল সেতুর’ বোর্ড। কিন্তু তারপরেও কেন সারাইয়ে জোর দেওয়া হল না সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা।
দক্ষিণবঙ্গের বড় অংশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতুর গুরুত্ব যে বেশ ভালই তা এর রুটের বহর দেখলেই বোঝা যায়। এই সেতুর উপর দিয়ে পাঁচ থেকে ছয়টি জেলার যাত্রীবাহী-বাস সহ অন্যান্য যান চলাচল করে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে আরামবাগ, বর্ধমান ও কলকাতার যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে এই সেতু। প্রচুর বাসের চলাচল যেমন রয়েছে, তেমন পণ্যবাহী ট্রাকেয়র যাতায়াতও কম নয়।
আশপাশে একাধিক স্কুল কলেজ রয়েছে। রয়েছে বাজারঘাট, বসতি এলাকা। মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই সেতু। রাতের দিকে এই বড়সড় বিপর্যয় হওয়ায় হয়তো প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছেন অন্য কারণে। সকলেই বলছেন, একবার ভেবে দেখুন সকালের দিকে হলে কী হত! বর্তমানে অকুস্থলে পুলিশের ব্য়ারিকেড করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।
