Pakistan: এবার টার্গেট পাকিস্তান? পরমাণু ভাণ্ডার ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ
ভারত–ইজরায়েল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে আলোচনায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা। চার দশক আগে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল ইসলামাবাদ। এবারও কি তেমনই কোনওভাবে বাঁচতে পারবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পাক প্রশাসনিক ও সামরিক মহলে। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ধাক্কা খাওয়ার পর পাকিস্তানের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
ভারত–ইজরায়েল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে আলোচনায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা। চার দশক আগে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল ইসলামাবাদ। এবারও কি তেমনই কোনওভাবে বাঁচতে পারবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পাক প্রশাসনিক ও সামরিক মহলে। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ধাক্কা খাওয়ার পর পাকিস্তানের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোয় ইজরায়েলের হামলা চোখ কচলে দেখেছে ইসলামাবাদ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বছরখানেক আগের এক মন্তব্য ঘিরে। ওই মন্তব্যে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল ইরান। তারপরে অবশ্যই পাকিস্তানের কথা বলতে হবে। কট্টরপন্থীদের হাতে পরমাণু অস্ত্রের দখল চলে যাওয়ার ঝুঁকি আমরা নিতে পারি না। হয়ত ইসলামাবাদকে নিশানা করা ছাড়া আমাদের হাতে আগামীদিনে অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না।’
এই বক্তব্য নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাকিস্তানে। উদ্বেগ আরও বেড়েছে ইজরায়েলের প্রাক্তন ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার মেইর মাসারির সাম্প্রতিক মন্তব্যে। তিনি সরাসরি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আমরা ইরান পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। এইবারে পাকিস্তানের পরমাণু বোমাগুলো নষ্ট করার পালা।’
এই দুই মন্তব্য মিলিয়ে পরিস্থিতি যে গুরুতর, তা বুঝে ফেলেছে ইসলামাবাদ। বিষয়টা ঘোরালো হচ্ছে বুঝে ইতিমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক সেরে ফেলেছেন শাহবাজ শরিফ। ভরসা একটাই। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি বাঁচিয়ে দেন!

