হুড়মুড়িয়ে টাকা ঢুকছে হুমায়ুনের কাছে, কী বলছে Income Tax-র আইন?
যদি নজরদারি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে টাকা ঢুকেছে বা সন্দেহজনকভাবে প্রচুর বিদেশি টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে, তাহলে পদক্ষেপ করতে পারে আয়কর দফতর। প্রয়োজনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হতে পারে।

কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের সূত্র ধরে বাংলার মানুষ অনেক টাকার পাহাড় দেখেছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে অনলাইন গেম-কাণ্ড সব ক্ষেত্রেই বিপুল নগদ টাকা উদ্ধার হতে দেখা গিয়েছে। সেই টাকা গুনতেও আনা হয়েছিল মেশিন। তাই গত রবিবার গুচ্ছ গুচ্ছ নোটের ছবি দেখে প্রথমটায় চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। আসলে এটা বাবরি মসজিদের জন্য আসা অনুদান। বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, এই টাকায় মসজিদ হবে, স্কুল-হাসপাতাল-পার্ক-মুসাফিরখানাও হবে।
এ ক্ষেত্রেও টাকা গোনার মেশিন আনতে হয়েছে। নগদ টাকা ছাড়াও গত তিন দিনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কোটি কোটি টাকা। প্রশ্ন হল, এত কম সময়ে এই বিপুল টাকার লেনদেন কি কোনও নজরদারির মধ্যে পড়ে? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম?
নিরাপত্তার কারণে কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় টাকা গোনার কাজ চলছে। এই টাকা আসছে ট্রাস্টের নামে। দানবাক্সের টাকাগুলোই নগদ হিসেবে রয়েছে, বাকি টাকা রয়েছে অ্যাকাউন্টে। নিয়ম হল, যদি কোনও ট্রাস্ট সরকারি অনুমোদন পায়, সে ক্ষেত্রে সেই ট্রাস্টের তরফে আয়কর মকুব করার আবেদন করতে হয়।
আয়কর মকুব করলে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সেই সার্টিফিকেট থাকলে বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ওই ট্রাস্টকে আইটি রিটার্ন ফাইল করতে হবে। যদি মকুব না হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে ট্যাক্স দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টকে। যদি ট্যাক্স না জমা পড়ে, আইটি রিটার্ন ফাইল না হয়, তাহলে আয়কর বিভাগ নজরদারি চালাবে।
এরপর যদি নজরদারি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে টাকা ঢুকেছে বা সন্দেহজনকভাবে প্রচুর বিদেশি টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে, তাহলে পদক্ষেপ করতে পারে আয়কর দফতর। প্রয়োজনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদের জন্য যে অনুদান আসছে, তা আসছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া’ নামক ট্রাস্টের নামে। বাবরি মসজিদ তৈরির জন্যই ওই ট্রাস্ট তৈরি করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ট্রাস্টের লেনদেনের লিমিট বাড়ানো হয়েছে। দিনে ২০ লক্ষের বেশি টাকা ঢুকছে বলে বাড়ানো হয়েছে ওই লিমিট।
