Anganwadi Centre News: জেলাশাসককে দেখতেই ছুটে গেলেন গঙ্গা, ১৩ বছর পর দেখলেন ‘নতুন ভোরের’ স্বপ্ন

13 Years of Darkness: ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের। রবিবার ওই কেন্দ্রের পাশেই আয়োজন হয়েছিল 'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান' কর্মসূচি। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া জেলাশাসক সুব্রমানিয়ান টি। জেলাশাসকের আসার কথা জানতে পেরেছিলেন বোয়ালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গঙ্গা শীল দাস।

Anganwadi Centre News: জেলাশাসককে দেখতেই ছুটে গেলেন গঙ্গা, ১৩ বছর পর দেখলেন নতুন ভোরের স্বপ্ন
বোয়ালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 02, 2025 | 4:27 PM

বালুরঘাট: ১৩ বছর পর কাটতে চলেছে অন্ধকার। ২০১২ সালে তৈরি হওয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আলো নিয়ে আসতে চলেছেন জেলাশাসক। কেন্দ্রটি তৈরি হওয়ার পর তাতে আলো-পাখার মতো যাবতীয় সামগ্রীর ব্য়বস্থা করে দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু আলো-পাখা চলবে কীভাবে? তার জন্য তো চাই বিদ্যুৎ সংযোগ। সেটা আর হয়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। প্রশাসনের দুয়ারে গিয়ে বহুবার আবেদন জানানো হলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলত, ১৩ বছর ধরে আলো-পাখা ছাড়াই চলেছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।

ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের। রবিবার ওই কেন্দ্রের পাশেই আয়োজন হয়েছিল ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া জেলাশাসক সুব্রমানিয়ান টি। জেলাশাসকের আসার কথা জানতে পেরেছিলেন বোয়ালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গঙ্গা শীল দাস। তড়িঘড়ি তাঁর কাছে ছুটে যান তিনি। নালিশ করেন স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। একাধিকবার বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন জানিয়েও তা মেলেনি বলেই অভিযোগ করেন তিনি।

এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যা নিয়ে জেলাশাসককে জানাই। উনি হয়ে যাবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এগুলি ছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সীমানা ও পানীয় জল নিয়ে কয়েকটা সমস্য়া হচ্ছে। সেই কথাও ওনাকে জানিয়েছি।’ অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। ঘুরে দেখেন চারপাশ। পরিস্থিতি যে বেহাল সেই কথাও ঘুরপথে স্বীকার করেন তিনি। জেলাশাসকের কথায়, ‘সবটাই দেখলাম। সংস্কার প্রয়োজন। দ্রুত সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হবে।’

প্রসঙ্গত, এই বোয়ালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট ৭২ জন পড়ুয়া রয়েছে। যাদের দায়িত্বে রয়েছেন একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও একজন সহায়িকা। প্রতিদিনের ৫০-এর অধিক এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসে। খাওয়া-দাওয়া করে। পড়াশোনা করে। আলো নিয়ে বিশেষ সমস্যা হয় না। সমস্যা পাখার। গরমের মধ্যেই চলে তাঁদের ক্লাস। বলে রাখা প্রয়োজন, এই কেন্দ্রের দশাও যে খুব একটা ঠিকঠাক এমনটা নয়। নেই সীমানা প্রাচীর, ভগ্নপ্রায় দশা। প্রয়োজন সংস্কারের।