
বালুরঘাট: পরিবারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে হোমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিন নাবালিকা বান্ধবী। মঙ্গলবার হোমে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বালুরঘাটে চলে যায় তিন নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বালুরঘাট পুরসভার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়।
এ কথা জানতে পেরে পুলিশ যায়, ওই তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে তিন নাবালিকাকে পুলিশ জেলা চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেয়। পরে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি উদ্ধার হওয়া তিন নাবালিকাকে মালদহের হোমে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে ওই তিন নাবালিকা কী কারণে বালুরঘাটে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিন নাবালিকার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার নওপাড়া এলাকায়। এদের মধ্যে দুজন বোন রয়েছে। তিন বান্ধবী একই স্কুলে পড়াশোনা করে। তাদের মা নেই। এমনকী বাবা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের দেখে না, নানারকমভাবে তাদের উপর অত্যাচার করে বলেও অভিযোগ। নাবালিকাদের দাবি, মারধরের পাশাপাশি তাদের খেতেও দেওয়া হত না ঠিক করে।
ওই তিন নাবালিকা হোমে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তিনজনের মধ্যে এক নাবালিকা প্রায় দুই তিন বছর হোমে ছিল। তাই সে জানত হোমে মারধর করা হয় না, খাবারও ঠিক সময় মতো পাওয়া যায়। বিষয়টি বাকি দুই বান্ধবীকে জানিয়েছিল সে। তারপর তারা ঠিক করে পরিবারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তারা হোমে থাকবে। এরপরই তারা আজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালুরঘাটে চলে যায়। এদিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন নাবালিকা এমনটাই জানিয়েছে। পুলিশ ও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন।