বালুরঘাট: ক্লাস ফোরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবক ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য বালুরঘাটে। নাবালিকার মুখে বিষয়টি জানতে পেরেই থানার দ্বারস্থ পরিবার। অভিযোগ পেতেই রাতেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত বিক্রম দাসকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত যুবককে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানালেও পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেননি বিচারক। অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নির্যাতিতা নাবালিকার শারিরীক পরীক্ষার পর চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। বালুরঘাট থানায় গণধর্ষণ ও পকসো মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতা নাবালিকার মা নেই। অনেক দিন আগেই বাড়ি ছেড়েছেন। বাবাও কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। বয়স্ক ঠাকুমার সঙ্গে একাই থাকে ওই নাবালিকা। অভিযোগ, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ওই নাবালিকাকে প্রতিবেশী এক যুবক ও তার সঙ্গীরা তুলে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণ করে। এমনকী সেই ঘটনার ভিডিয়ো ওই যুবক তার মোবাইলেও তুলে রেখেছিল। কাউকে ঘটনার কথা না বলার জন্য নাবালিকাকে হুমকিও দেওয়া হয়। এরইমধ্যে বুধবার বিকালে ফের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু, যুবকের দল ধাওয়া করতেই ওই নাবালিকা পালিয়ে যায়। পরে বাড়ি এসে ঠাকুমার কাছে সবটা খুলে বলে। এরপরই রাতে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার ঠাকুমা। অভিযোগ পেতেই রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবক ছাড়া আরও দুজন যুবকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর। তবে তারা আবার নাবালক বলে জানা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নাবালিকার এক আত্মীয় বলেন, “ওর তো মা-বাবা থেকেও নেই। নাতনিকে নিয়ে একা থাকেন ঠাকুমা। গতকাল নাতনি কাঁদতে কাঁদতে এসে ওর ঠাকুরমাকে পুরো ঘটনার কথা খুলে বলে। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর সাজার দাবি করছি।” অন্যদিকে এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “গতকাল রাতে অভিযোগ আসে বালুরঘাট থানায়। রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”