হরিরামপুর: পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন। আর সেখানেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠল। প্রত্যেক পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি তৈরির ক্ষেত্রে জেলা তৃণমূলের প্যাডে কারা কারা সদস্য হবে সেই নাম গিয়েছে। হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে একইভাবে নাম দেয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রেমচাঁদ নুনিয়া জেলা তৃণমূলের পাঠানো খাম ফেলে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের প্যাডের লেখা খাম বের করেন। অভিযোগ, তিনি মন্ত্রীর পাঠানো তালিকা অনুযায়ী স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা বলেন। সেই সময় জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের অনুগামী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ভোট করান বিপ্লব অনুগামীরা। এদিন স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছে। তবে কোনও কর্মাধ্যক্ষকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি বলেই জানান হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। শনিবার বিকালের এই ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতি সরগরম হওয়ায় ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ মানতে চাননি হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া। তাঁর দাবি, “আমরা সকলে একসঙ্গে থেকে স্থায়ী সমিতি গঠন করেছি। দু’ একজন সদস্যর মনমতো না হওয়ায় বেরিয়ে গিয়েছেন। তেমন কোনও বিষয় নয়।” এ বিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী তথা হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি এদিন বাড়িতে ছিলেন।
তবে ক্ষোভ উগরে জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব দলগতভাবে একটা নাম দিয়েছিল, সেটা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষর। বাদবাকি ৮টির জন্য জেলা থেকে পার্টির হুইপ শোনানো হয়। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিধায়কের একটা খাম বের করে আরও কিছু নাম প্রস্তাব করেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচন্দ নুনিয়ার নামে আমরা দলকে জানিয়েছি। এটা দলবিরোধী কার্যকলাপ। জেলার সাতটি ব্লকেই স্থায়ী সমিতি হয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্যাডে হুইপ গিয়েছে। একমাত্র হরিরামপুর ব্লকে আমাদের কিছু সদস্য ভোটাভুটি চেয়েছে।”